বাঁ দিক থেকে, হেমন্ত সোরেন, চম্পই সোরেন এবং বাবুলাল মরান্ডি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্যে। সোমবার ম্যাট্রিজ় এজেন্সি ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটে যে জনমত সমীক্ষা (ওপিনিয়ন পোল) প্রকাশ করেছে, তাতে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় দাবি, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে হারিয়ে সে রাজ্যে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে আগামী বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে। সোমবার প্রথম দফার ভোটের প্রচারের শেষ দিন। তার ঠিক আগে প্রকাশিত জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ৪৫ থেকে ৫০টিতে জিততে পারে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৪২-এর চেয়ে বেশি পাচ্ছে তারা। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস, আরজেডি এবং বামেদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ ১৮ থেকে ২৫টিতে জিততে পারে বলে ওই সমীক্ষার পূর্বাভাস। আগামী ২০ নভেম্ব দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ঝাড়খণ্ডের বাকি ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সে দিনই প্রকাশিত হবে বুথফেরত সমীক্ষা। ভোটগণনা হবে ২৩ নভেম্বর।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’। এ বারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট গড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)। বিজেপি ৬৮, আজসু ১০, জেডিইউ দু’টি এবং এলজেপিআর একটি আসনে লড়ছে।