Bengaluru Techie Suicide

‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব’, অতুল সুভাষ মামলায় আশ্বাস বেঙ্গালুরু পুলিশের, গড়া হল দু’টি তদন্তকারী দল

অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া ও তাঁর পরিবার উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা। অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে জৌনপুরে পৌঁছেছে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। এর পরেই নিকিতাকে বেঙ্গালুরুতে তলব করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৭
বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী যুবক অতুল সুভাষ।

বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী যুবক অতুল সুভাষ। — ফাইল চিত্র।

স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির জেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষ। অভিযোগ এমনটাই। সেই নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মাঝে শনিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ আশ্বাস দিয়ে জানাল, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। অতুল-মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবেই।

Advertisement

বেঙ্গালুরু পুলিশের কমিশনার বি দয়ানন্দ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গড়া হয়েছে দু’টি তদন্তকারী দল। প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবই।’’ অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া ও তাঁর পরিবার উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা। অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে জৌনপুরে পৌঁছেছে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। এর পরেই নিকিতাকে তলব করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহল্লি থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, অতুলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত আইনটি সংস্কারের দাবি উঠেছে। এই আইনের অপব্যবহার রুখতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদন করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি।

সোমবার ভোরে নিজের ঘর থেকে বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত যুবক অতুলের দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিদায়ী ভিডিয়ো ছাড়াও ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে যান অতুল, যার ছত্রে ছত্রে স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ! উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের পারিবারিক আদালতে অতুল-নিকিতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অতুলের পরিবারের অভিযোগ, টাকা আদায় করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতা, বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার মতো নানা গুরুতর অভিযোগে অতুলকে ফাঁসানো হয়। নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। মামলা রুজু হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ এবং ৩(৫) ধারায়।

Advertisement
আরও পড়ুন