কার্শিয়াঙে দেখা মিলল কালো চিতাবাঘের। ছবি: কার্শিয়াঙের ডিএফও-র পোস্ট করা ভিডিয়ো থেকে সংগৃহীত।
পাহাড়ের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘের মতো এক জন্তু। তবে গায়ের রং কালো। সেই কালো রঙের ভিতর দিয়েও চামড়ায় চিতাবাঘের চাকা চাকা দাগ ফুটে ওঠে। নাম ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ বা ‘কালো চিতাবাঘ’। পাহাড়ের রাস্তায় ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এর অস্তিত্বের প্রমাণ মিলতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কার্শিয়াং বন বিভাগের অধীনে চিমনি থেকে বাগোরা যাওয়ার পথে ওই কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছে।
বৃহস্পতিবার এক গাড়িচালক বাগোরা যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই ওই কালো চিতাবাঘের ছবি মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করেন। তবে তার পরই বিষয়টি জানানো হয় কার্শিয়াঙের বন বিভাগকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিতাবাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কার্শিয়াঙের ডিএফও দেবেশ পান্ডে ওই ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। ওই চিতাবাঘ সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকলে তা বন দফতরকে জানানোর আর্জি জানান তিনি।
দেবেশের কথায়, ‘‘পাহাড়ে আগেও কালো চিতাবাঘ বা ম্যালানিস্টিক লেপার্ডের সন্ধান মিলেছে। এটিরও খবর নেওয়া হচ্ছে। চিতাবাঘের শরীরে কালো রঙের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখনই তার গায়ের কালো হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ে কালো চিতাবাঘের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কালো চিতাবাঘের সংখ্যা জানতে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গ্রামবাসী এবং ‘হোম স্টে’ মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তাঁদের বসানো সিসি ক্যামেরাতেও এর আগে ওই কালো চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছিল।’’
সম্প্রতি বেশ কয়েক বার পাহাড়ে দেখা মিলেছে এই কালো চিতাবাঘের। গত বছরের ১৫ অক্টোবর কার্শিয়াঙের ওই একই জঙ্গলে এক কালো চিতাবাঘের দেখা মেলে। তার পর ১৬ অক্টোবর আবার কালো চিতাবাঘের দেখা মেলে মিরিকে। তার আগে ২০২৩ সালের ৭ জুন কার্শিয়াং থেকে চার কিলোমিটার দূরে চিমনি এলাকার রাস্তায় কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল। এ ছাড়াও, ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল, দার্জিলিঙের চিত্রে বাজারের কাছে রাস্তা পার হতে দেখা যায় একটি কালো চিতাবাঘকে। তার পর সে বছরের নভেম্বর মাসেও মিরিকে দেখা গিয়েছিল ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। ২০২০ সালে মিরিকের ওকাইতি চা বাগান সংলগ্ন ন’নম্বর ডিভিশনের কাছে রাস্তা পার করার সময় এক কালো চিতাবাঘের দেখা মেলে। তেমনই এ বার আরও এক কালো চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া গেল বাগোরার জঙ্গল এলাকায়।