Farmers' Protest

শুরু হল কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান, শম্ভু সীমানায় পুলিশি প্রহরা, অম্বালায় বন্ধ হল ইন্টারনেট

শনিবার সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চার তরফে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল শুরু হয়েছে। গত রবিবারও ওই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধায় রণে ভঙ্গ দিতে হয় কৃষকদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩১
শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকেরা।

শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকেরা। ছবি: পিটিআই।

ফের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করলেন ১০১ জন কৃষক। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পূর্বের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার ৬ দিন পর শনিবার সকালে ফের শম্ভু সীমান্ত থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সতর্ক রয়েছে প্রশাসনও। অম্বালার কিছু অংশে সকাল ৬টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চার তরফে ১০১ জন কৃষককে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল শুরু হয়েছে। এর আগে রবিবারও ওই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে রণে ভঙ্গ দিতে হয় আন্দোলনরত কৃষকদের। তবে শম্ভু সীমানা এখনও ছাড়েননি তাঁরা।

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষকেরা দিল্লি সংলগ্ন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে রয়েছেন। গত ২৬ নভেম্বর কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশন শুরু করার পর আন্দোলন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। প্রথমে ৬ ডিসেম্বর দিল্লি অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু সে দিন পুলিশের বাধা পেয়ে পিছু হটেন কৃষকেরা। এর পর ৮ ডিসেম্বর ফের ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ডাক দেন তাঁরা। কৃষকদের কর্মসূচির জন্য সে দিন সকাল থেকে শম্ভু সীমানায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। মিছিল এগোনোর চেষ্টা করতেই তাঁদের পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। কার্যত ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন কৃষকেরা।

এর আগে গত মাসের ১৩ এবং ২১ তারিখেও কৃষকেরা দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রতি বারই দিল্লি ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। মিছিলের উপর পুলিশি হানার নিন্দা করেছেন কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের। আন্দোলনকারী কৃষকদের বক্তব্য, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই ট্রাক্টরের বদলে মাত্র ১০১ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে পায়ে হেঁটে মিছিল করার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, কৃষকদের দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে সরকারের উদাসীনতারও সমালোচনা করেছেন সরওয়ান।

Advertisement
আরও পড়ুন