MK Stalin

আসন পুনর্বিন্যাস মুলতুবি হোক ৩০ বছরের জন্য, স্ট্যালিনের নেতৃত্বে প্রস্তাব গৃহীত সর্বদল বৈঠকে

স্ট্যালিনের সহযোগী কংগ্রেস এবং বামেদের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে-সহ আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতারা বুধবার চেন্নাইয়ে সর্বদল বৈঠকে হাজির ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৭
স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সর্বদল বৈঠক।

স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সর্বদল বৈঠক। ছবি: পিটিআই।

লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ আগামী ৩০ বছরের জন্য মুলতুবি রাখার দাবি তুলল তামিলনাড়ু। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সর্বদল বৈঠকে বুধবার সর্বসম্মত ভাবে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

Advertisement

স্ট্যালিনের সহযোগী কংগ্রেস এবং বামেদের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে-সহ আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। যদিও বিজেপি এবং তার সহযোগী তামিল মনিলা কংগ্রেস সর্বদল বৈঠক বয়কট করে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গরহাজির ছিল কট্টরপন্থী দ্রাবিড় জাতীয়তাবাদী দল এনটিকে-ও। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আসন পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ রুখতে একটি যৌথ কমিটি গড়ার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে সর্বদল বৈঠকে।

গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ে একটি কর্মসূচিতে স্ট্যালিন অভিযোগ করেন, যে পদ্ধতিতে আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা হচ্ছে তাতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির উপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হলে তামিলনাড়ু আট জন সাংসদ খোয়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত বুধবার তামিলনাড়ু সফরে গিয়ে স্ট্যালিনের অভিযোগ খারিজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই লোকসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরেও, দাক্ষিণাত্যের কোনও রাজ্যের আসন কমানো হবে না।’’ তবে আগামী বছর থেকে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানান শাহ।

২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী লোকসভায় সাংসদসংখ্যাও বৃদ্ধি হওয়ার কথা। তা হলে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলি থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা অনেকটা বাড়বে। তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলির সাংসদসংখ্যা তেমন বাড়বে না। ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। স্ট্যালিন বুধবার বলেন, ‘‘আমরা চাই ২০২৬ থেকে পরবর্তী ৩০ বছর লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ মুলতুবি রাখা হোক।’’

সংবিধান অনুসারে, জনসংখ্যা অনুযায়ীই সাংসদসংখ্যা ঠিক হওয়া উচিত। সাধারণ ভাবে, প্রতি ১০ লক্ষ ভোটারপিছু একটি করে লোকসভা আসন বরাদ্দের নীতি মেনে চলা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৯৬ কোটির বেশি ভোটার ছিলেন। সেই হিসাবে লোকসভায় প্রায় ৯৬০ জন সাংসদ থাকার কথা। এখন লোকসভায় আসনসংখ্যা ৫৪৩। যদিও নতুন সংসদ ভবনে প্রায় ৯০০ আসনের লোকসভা কক্ষ তৈরি হয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাসে প্রতি ১০ লক্ষ ভোটারের জন্য এক জন সাংসদের নীতি বজায় রাখতে হলে, লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা বদলাতে হবে। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা বিজেপির সুবিধামতো পুনর্বিন্যাস হবে আসনের।

Advertisement
আরও পড়ুন