বাঁদিক থেকে, ভ্লাদিমির পুতিন, ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
যুদ্ধবিরতির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাল রুশ প্রেডিসেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর। সেই সঙ্গে ক্রেমলিনের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, যুদ্ধে ইতি টানতে আলোচনায় তারা রাজি। মঙ্গলবার আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির থেকে তিনি একটি চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠিতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জ়েলেনস্কি।
ঘটনাচক্রে, সোমবার ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার পরেই জ়েলেনস্কির এই পরিবর্তন। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর শুক্রবারের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশও করেছেন জ়েলেনস্কি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এই আবহে বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনার প্রস্তাব পেলে তারা সাধারণ ভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপই গ্রহণ করে।
সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আর এক দেশ বেলারুশ বুধবার জানিয়েছে, মস্কো-কিভ সম্মত হলে তারা শান্তিবৈঠকের আয়োজন করতে প্রস্তুত। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর পরিচিতি ‘পুতিন-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে। গত মাসে সৌদি আরবে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হলেও তাতে শামিল হয়নি ইউক্রেন। ‘পুতিন-ঘনিষ্ঠ’ আর এক রাষ্ট্রনেতা, হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবার চলতি সপ্তাহেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যস্থতার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।