(বাঁ দিক থেকে) অজয় কুমার, গীতা কোড়া এবং চম্পই সোরেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার বিধানসভা ভোটে মোট ৬৮৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে। বাংলার পড়শি রাজ্যের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে আগামী ১৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
গত ১৮-২৫ অক্টোবর প্রথম দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন পর্ব চলেছিল ঝাড়খণ্ডে। সে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে রবিকুমার বলেন, ‘‘মোট ৮০৫ জন মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। মনোনয়ন পরীক্ষার পরে আমরা ৭৪৩ জনকে ‘বৈধ প্রার্থী’ ঘোষণা করেছিলাম। এর পরে ৫৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬৮৫ জন।’’ জামশেদপুর-পূর্ব আসনে সর্বাধিক ২৮ জন এবং জগনাথপুর আসনে সর্বনিম্ন ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছেন রবি।
২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৪৩টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩৩। প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্বই সোরেন (সেরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস প্রার্থী, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমার (জামশেদপুর পূর্ব) এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ (লোহারডাগা)। আগামী ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ঝাড়খণ্ডের বাকি ৩৮টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দিনের একদফায় ভোট হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনে। দু’রাজ্যেই ভোটগণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’। এ বারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট গড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)।