সংসদে শিবসেনার জন্য বরাদ্দ ঘর গেল শিন্ডেগোষ্ঠীর দখলে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার পরে এ বার সংসদ ভবনেও ‘ঠিকানা’ হারালেন উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। মঙ্গলবার শিবসেনার লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদদের জন্য বরাদ্দ ঘরটির দখল নিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের অনুগামী শিবসেনা। সংসদ সচিবালয়ের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে একই ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানভবনে শিবসেনার বিধায়ক এবং বিধান পরিষদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ ঘর দখল করেছিল শিন্ডেসেনা।
সংসদ সচিবালয় সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন শিন্ডে শিবিরকে ‘শিবসেনা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ওই গোষ্ঠীর নেতা তথা মুম্বই দক্ষিণ-মধ্য কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল শেওয়ালের হাতে সংসদ ভবনে শিবসেনার জন্য বরাদ্দ ঘরটি তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, লোকসভায় ১৯ জন শিবসেনা সাংসদের মধ্যে ১৩ জন রয়েছেন শিন্ডেশিবিরে। ৬ জন উদ্ধবের দিকে। রাজ্যসভার ৩ শিবসেনা সাংসদই অবশ্য এখনও উদ্ধবের দিকে রয়েছেন।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতেছিল শিবসেনা। পরে ২০২১ সালে উপনির্বাচনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হবেলী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হন শিবসেনা সমর্থিত প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের ১০২ (২) এবং ১৯১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য এক সঙ্গে দল ছাড়লে তবেই দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না।
এ ক্ষেত্রে ৬ জন সাংসদ থাকায় লোকসভায় পৃথক গোষ্ঠী হিসেবে উদ্ধব শিবির স্বীকৃতি পাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে, শিন্ডেগোষ্ঠীকে ‘শিবসেনা’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উদ্ধব গোষ্ঠীর তরফে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, বুধবার আবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে তার শুনানি হবে।