রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ভরসা থাকুক টাটকা সব্জি, ফল, কাঁচা বাদামে। ছবি- সংগৃহীত
ডায়াবিটিস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ নেই। কেউ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বারণ করেন, তো কেউ মনে করেন খাবারের সঙ্গে শর্করার মাত্রা বাড়া বা কমার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অন্য কথা। রান্না করা বা আধ-সেদ্ধ এবং প্রাণীজাত যে কোনও খাবারের বদলে কাঁচা এবং ভিগান খাবার খেলে নাকি ৩০ দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা। ছ’জন ডায়াবিটিসের রোগীর জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাসের নিয়ে নির্মিত ‘সিম্পলি র: রিভার্সিং ডায়াবিটিস ইন থার্টি ডেজ্’ শীর্ষক তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে এমন তথ্য। চিকিৎসক মহলেও রীতিমতো সাড়া ফেলেছে সেই ছবি।
ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় কী পথ দেখাচ্ছে সে তথ্যচিত্র?
রান্না করলে কিছু এঞ্জাইম নষ্ট হয়ে যায়। যা বিপাকহার কমিয়ে দিতে পারে। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই খাবার খেতে হবে ভেবেচিন্তে।
কী খাবেন, কী খাবেন না
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে টাটকা সব্জি, ফল, কাঁচা বাদাম, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, বিনস্, বাদামের দুধ, দই খাওয়া যেতে পারে। উপমহাদেশীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক থাকলে চেখে দেখতে পারেন কিমচি (লেবুর রস এবং মশলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সব্জি মজানো), সিউইড (এক প্রকার সামুদ্রিক গুল্ম)।
হালকা রান্না করা, আধ-সেদ্ধ খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই জাতীয় খাবারে তেল, মশলা কম থাকলেও খাবারের পুষ্টিগুণ পুরোপুরি বজায় থাকে না। বেকড্ সব্জি, শুকনো খোলায় সেঁকা দানা শস্য, বাদাম, প্যাকেটজাত ফলের রস বা দুগ্ধজাত খাবার, বিভিন্ন ফলের কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত শরবত বা দই।
কেমন হবে খাওয়ার তালিকা
প্রতিদিনের প্রাতঃরাশে পাতে রাখুন বিভিন্ন রকমের ভেজানো বাদাম, দই, ওট্স এবং ফলের স্মুদি। আলাদা করে দানা খাওয়ার সময় না থাকলে ওই স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিডস্। এ ছাড়াও সপ্তাহের সাত দিন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেতে পারেন অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, বিনস্।
দুপুরে মাছ-ভাত বাদ দিতে হবে একেবারে। বদলে খেতে পারেন বাটিভর্তি সব্জির স্যালাড, স্যুপ, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস দেওয়া হালকা সঁতে করা সব্জি, দই।
ঘণ্টাখানেক পর খেতে পারেন যে কোনও খোসাসমেত ফল। আপেল, পেয়ারা, আঙুর, শসা— সবই চলতে পারে।
বিকেলে চায়ের সঙ্গে কুকিস বা বিস্কুট না খেয়ে সঙ্গে রাখুন কর্ন স্যালাড।
বাড়ি ফিরে বিশেষ কিছু করতে ইচ্ছা না করলে নৈশভোজ সারুন সবজির স্যালাড বা কিমচি স্যুপ দিয়ে।