বন্ধ নাক খোলার উপায় আছে। ছবি: সংগৃহীত।
সময়ের অনেক আগেই ঘুম ভেঙে গিয়েছে। এ পাশ-ও পাশ করেও স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। ঠান্ডা লেগে এমন ভাবে নাক বন্ধ হয়ে আছে যে মুখ হাঁ করে শ্বাস নিতে হচ্ছে, মাথাও ধরে রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই মরসুমে ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি, পলিপ কিংবা সাইনাসের মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। নাসারন্ধ্র বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে এই সমস্ত কারণ থাকতে পারে। ঘুম থেকে উঠে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে যদি নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু টোটকার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
১) ঝাল, তেলমশলা দেওয়া খাবার:
অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মশলা দেওয়া খাবার পেটের পক্ষে ভাল না-ও হতে পারে। তবে বন্ধ নাক খোলার দারুণ টোটকা হতে পারে এটি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আদা-রসুন-পেঁয়াজ-লঙ্কা দেওয়া খাবার খেলে দেহের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। নাসারন্ধ্রে জমে থাকা সর্দি, শ্লেষা তরল হয়ে যায়। যদিও তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি নয়। তবু ঘরোয়া এই টোটকায় অনেকেরই কাজ হয়।
২) হিউমিডিফায়ার:
সর্দিতে নাকের ভিতরের সূক্ষ্ম ঝিল্লি বা পর্দাগুলি ফুলে যায়। প্রদাহের কারণেও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাব হলেও অনেক সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘরে ‘হিউমিডিফায়ার’ নামক যন্ত্র রাখলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। ঘরের ভিতরের বাতাস তৎক্ষণাৎ আর্দ্র করে দিতে পারে এই যন্ত্রটি। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
৩) স্টিম:
বন্ধ নাক খোলার বহু পুরনো এবং সহজ পন্থা হল গরম জলের ভাপ নেওয়া। বাড়িতে স্টিম যন্ত্র না থাকলে বড় গামলায় ফুটন্ত জল নিন। তার উপর মুখ ঝুঁকিয়ে বসে থাকুন বেশ কিছু ক্ষণ। একটানা গরম ভাপ নিতে না পারলে মিনিট দুয়েকের বিরতি নিন। তার পর আবার ভাপ নিতে শুরু করুন।