সব পোশাক রোজ কাচেন? ছবি: সংগৃহীত।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে, রোগমুক্ত থাকতে হলে রোজ জামা-কাপড় কাচতে হয়। তাই সারা দিন পর বাড়ি ফিরেই আগে সমস্ত পোশাক ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দেন। জিন্স, শার্ট, কামিজ কিংবা লেগিংস— সবই এক নিয়মে কাচেন। কিন্তু অভিজ্ঞেরা বলছেন, সব পোশাকের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না।
এমন অনেক পোশাক রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত কাচলে তার রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পোশাকের ফ্যাব্রিকের হাল এমন হয়ে যায় যে তা দেখে একেবারেই নতুন বলে মনে হয় না। কোন পোশাক কী ভাবে কাচতে হবে, তার বিবরণ ট্যাগে থাকে। কিন্তু কোন পোশাক কত বার কাচা উচিত, সে সংক্রান্ত কোনও নিয়ম লেখা থাকে না। তাই কাচতে দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
১) অন্তর্বাস:
অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে এই নিয়মটা একেবারেই আলাদা। সম্ভব হলে এক বার ব্যবহার করার পরই তা ধুয়ে ফেলা উচিত। তবে ঊর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে অনেক মহিলাই সে নিয়ম মানেন না। শুধু ত্বক সুরক্ষার জন্য নয়, অন্তর্বাসের ফ্যাব্রিক ভাল রাখতে হলেও এই নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
২) জ্যাকেট:
চামড়া বা চামড়ার মতো দেখতে উপকরণ দিয়ে তৈরি জ্যাকেট কাচা যায় না। তবে ইদানীং নানা ধরনের সিন্থেটিক ফ্যাব্রিক দিয়েও জ্যাকেট তৈরি হয়। সেগুলি বাড়িতে না কেচে লন্ড্রিতে দেওয়া যায়। লাইনিং দেওয়া ব্লেজারের ক্ষেত্রেও তা-ই। শীত শেষে শীতের সমস্ত পোশাক একেবারে কেচে তুলে দেওয়ার নিয়ম এখনও বজায় রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু জ্যাকেট যদি নোংরা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে একাধিক বার কাচতে হবে।
৩) জিন্স:
স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা ঘুরতে যাওয়া— জিন্স অনেকের কাছেই জাতীয় পোশাকের মতো। রোজ জিন্স পরলে তা কাচারও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এত ঘন ঘন কাচার ফলে ফ্যাব্রিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্ট্রেচ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই এক বার পরার পরেই জিন্স কেচে ফেলার প্রয়োজন নেই। অন্তত ৪-৫ বার পরার পর তা কাচা যেতে পারে। গরমকালে ঘাম বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে ২-৩ বার পরার পরেও জিন্স কাচা যেতে পারে।
৪) লেগিংস:
কুর্তি বা কামিজের সঙ্গে জিন্স, ট্রাউজ়ার্সের বদলে লেগিংস পরেন অনেকেই। দিন কয়েক ব্যবহার করার পরেই অনেকে অভিযোগ করেন, লেগিংসের ফিটিংস আর আগের মতো নেই। রংও ফিকে হয়ে গিয়েছে। ঘন ঘন লেগিংস কাচলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই পোশাকটি রোজ কাচতে যাবেন না। অন্ততপক্ষে দু’-তিন বার ব্যবহার করার পর লেগিংস কাচলে এতটা সমস্যা হবে না।
৫) পাজামা:
যাঁদের প্রচণ্ড ঘাম হয়, তাঁদের রোজই পাজামা কেচে নেওয়া উচিত। যদি তা না হয়, সে ক্ষেত্রে একই পাজামা অন্তত পক্ষে তিন-চার বার পরা যেতে পারে।