অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বড় একটি গামলায় রয়েছে কনকনে ঠান্ডা জল। সেই জলে ভেসে বেড়াচ্ছে কয়েক টুকরো বরফ। সকালে ঘুম থেকে উঠে তেমন জলেই মুখ ডোবাচ্ছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। কিছু দিন আগে তেমন ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। তা দেখে বেশ কিছু দিন নিজেও বরফ-জলে মুখ ডোবাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন তো খুব ঠান্ডা। তাই সেই নিয়মে ছেদ পড়েছে। তবে চিন্তা নেই। আলিয়ার মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়ার অন্য পদ্ধতিও আছে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।
১) ডবল ক্লিনজ়িং
ত্বকের গভীরে জমে থাকা ধুলো-ময়লা এবং মেকআপের স্তর তোলা সহজ নয়। মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেও তা পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। তাই মেকআপ তুলতে আলিয়ার ভরসা ‘ডবল ক্লিনজ়িং মেথড’। মেকআপ তুলতে প্রথম পর্যায়ে মুখে তৈলাক্ত কোনও ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।
২) ফেস মিস্ট:
তার পর তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুখ মুছে নিন। আলিয়া তাঁর নিজের ত্বকের প্রয়োজন বুঝে মিস্ট স্প্রে করেন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে টোনার ব্যবহার করেন অনেকে। তবে বাড়তি আর্দ্রতার প্রয়োজন হলে ফেশিয়াল মিস্ট ব্যবহার করাই ভাল।
৩) এক্সফোলিয়েশন:
শক্ত, দানাদার স্ক্রাব মুখের ত্বকে উপযুক্ত নয়। তাই সপ্তাহে অন্তত এক বার ‘কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট’ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষ সরে গিয়ে তা আরও মসৃণ হয়। নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে। তবে সকলের ত্বক এক রকম নয়। তাই রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
৪) হাইড্রেটিং টোনার:
যে হেতু এক্সফোলিয়েশনের পর ত্বকের উপর থেকে একটি স্তর উঠে যায়, ফলে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। এই সময়ে ত্বকের বাড়তি আর্দ্রতার প্রয়োজন। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী, অ্যালকোহল-বিহীন টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) সিরাম:
ত্বকের সমস্যা বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভাল কোনও সিরাম মাখতে পারেন। মুখে ব্রণ বা ব্রণের দাগ থাকলে নিয়াসিনামাইড-যুক্ত সিরাম মাখতে পারেন। ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় সে ক্ষেত্রে হায়ালুরনিক অ্যাসিড মাখা যেতে পারে। মুখে ব্ল্যাক বা হোয়াইডহেড্স থাকলে স্যালিসিলিক অ্যাসিড-যুক্ত সিরাম মাখতে হবে।