Pomegranate Peel Tea

পুজোয় আইসক্রিম খেয়ে কাশি বাধিয়েছেন? নিরাময়ে চুমুক দিতে পারেন বেদনার খোসা দিয়ে তৈরি চায়ে

বেদানা তো বটেই, এই ফলের খোসার পুষ্টিগুণও কম নয়। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং হরেক রকম বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদানে ভরপুর বেদানার খোসা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৫
বেদানার খোসা দিয়ে তৈরি চা খেলে কমবে কাশি।

বেদানার খোসা দিয়ে তৈরি চা খেলে কমবে কাশি। ছবি: সংগৃহীত।

যতই সাবধান করুন না কেন, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে চোখের সামনে আইসক্রিমের গাড়ি দেখলে হাত গুটিয়ে রাখা মুশকিল। গরমে ঘেমে-নেয়ে পছন্দের আইসক্রিম মুখে দেওয়া মানে স্বর্গীয় এক অনুভূতি। কিন্তু সে তো সাময়িক। তার পর ক্ষণেই গলা খুসখুস, গলাব্যথা। তার পরে দমফাটা কাশি। তা থেকে নিরাময় পেতে অনেকেই সিরাপ বা ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। তবে এই সাধারণ ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকাও কাজ দেয়। বুকে জমা সর্দি, কফ তুলতে বেদানার খোসা দিয়ে তৈরি চা কিন্তু বেশ কাজের।

Advertisement

বেদানা তো বটেই, এই ফলের খোসার পুষ্টিগুণও কম নয়। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং হরেক রকম বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদানে ভরপুর বেদানার খোসা। এই উপকরণ দিয়ে তৈরি চা গলা, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। প্রদাহজনিত সমস্যার নিরাময় করে। উপরন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। ‘ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই পানীয়টির প্রদাহনাশক গুণ তো রয়েছেই। পাশাপাশি এটি অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ালও বটে। তাই নিয়মিত খেলে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ কমে।

বেদানার খোসা দিয়ে কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়?

১) প্রথমে রোদে বেদানার খোসাগুলি শুকিয়ে নিন। রোদে রাখার সময় না থাকলে অভেনেও বেক করে নিতে পারেন।

২) এর পর ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি গুঁড়ো করে নিন।

৩) হালকা গরম জলে এই গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে, ছেঁকে নিলেই তৈরি বেদানার খোসার চা। চাইলে এই পানীয়ে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন