Detox Water

পুজোর ভোজে ইতি না টেনে, রোজ সকালে চুমুক দিন ডিটক্স পানীয়ে, কী ভাবে বানাবেন সেই পানীয়?

পুজোর ক’দিন শরীর ভাল রাখতে ঘরোয়া ডিটক্স পানীয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২২
detox water on empty stomach

ছবি: সংগৃহীত।

পুজো মানে দেদার খাওয়াদাওয়া, সাজগোজ আর রাত জেগে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখা। কিন্তু এ সবের মাঝে যদি শরীর বিগড়ে যায়, তা হলেই তো বিপদ! রোল, চাউমিন, ফুচকা, বিরিয়ানি, লুচি-পোলাও-মাংস— কোনও কিছুই তো বাদ দেওয়া যাবে না! তার উপর রাত জেগে ঠাকুর দেখাও রয়েছে। এই সব কিছুর ফলে শরীর কিন্তু জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পুজোর ক’দিন শরীর ভাল রাখতে ঘরোয়া ডিটক্স পানীয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।

Advertisement

এই ডিটক্স পানীয় খেলে কী হবে?

সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে হজমক্ষমতা বাড়বে। জমে থাকা দূষিত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মিত এই পানীয় খেলে বিপাকহার ভাল হয়। যা পরোক্ষ ভাবে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরায়। তা ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

এ ছাড়া, শরীরকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে এই ডিটক্স পানীয়টি। এই আবহাওয়ায় সারা রাত ধরে ঠাকুর দেখার পর শরীর জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। এই পানীয়টি তৎক্ষণাৎ শরীরে জলের সেই ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারে।

কী ভাবে ডিটক্স পানীয় তৈরি করবেন?

১) শসার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন।

২) পাতিলেবু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রাখুন।

৩) এ বার কাচের পাত্রে পরিমাণ মতো জল নিয়ে শসা এবং লেবু ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়।

৪) চাইলে এক মুঠো পুদিনা পাতাও ছড়িয়ে দিতে পারেন। পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই জল খেয়ে নিন।

Advertisement
আরও পড়ুন