মাছ, মাংসকে স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে পাল্লা দিতে পারে হেঁশেলের অতি পরিচিত একটি উপাদান। প্রতীকী ছবি।
শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই। শরীরের যত্ন নেয় এমন খাবার মানেই মাছ, মাংস, ডিম। অনেকেরই রোজের পাতে এ ধরনের খাবারই থাকে। প্রাণিজাত এই খাবারগুলি অতি অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে হা়ড় এবং পেশি মজবুত ও শক্তিশালী করা—প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদান সমৃদ্ধ এই খাবারগুলির জুড়ি মেলা ভার। মাছ, মাংসকে স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে পাল্লা দিতে পারে হেঁশেলের অতি পরিচিত একটি উপাদান। তেমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
রোজের রান্নায় ব্যবহৃত না হলেও কষা মাংস কিংবা মুড়িঘণ্টের ডাল রাঁধলে উপর থেকে একটু গরম মশলা ছড়িয়ে না দিলে রান্নায় ঠিক স্বাদ হয় না। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো নয়। শরীরের খেয়াল রাখতেও সমান পারদর্শী গরম মশলা।
প্রোটিন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে এই মশলায়। গরম মশলায় রয়েছে আয়রনের মতো উপাদান, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে অ্যানিমিয়ার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, গরম মশলা খেতে পারেন। উপকার পাবেন। আয়রন ছাড়াও এই মশলায় রয়েছে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ডায়াবিটিস থেকে অতিরিক্ত ওজন— সবই নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে আর্থরাইটিসের ব্যথারও উপশম ঘটায়। প্যাকেটজাত গরমমশলা ব্যবহার করেন অনেকে। তবে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন।