জিভে ফোস্কা পড়ে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত গরম কিছুতে ছেঁকা লাগলে বা ফুটন্ত খাবার অথবা পানীয়ে চুমুক দিলে জিভে ফোস্কা পড়তে পারে। তা আবার নিজে থেকে সেরেও যায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে নির্দিষ্ট কোনও ভিটামিন বা খনিজের অভাব হলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। জিভে ফোস্কা পড়লে ব্যথা তো হয়ই, খেতে গেলেও জ্বালা করে। নিরাময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি, ঘরোয়া কিছু টোটকাও প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে এই রোগ নিরাময় সম্ভব?
১) গার্গল:
ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে নুন বা হলুদ দিয়ে গার্গল করা যেতে পারে। এই দু’টি উপাদানের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। এগুলি জিভে ব্যাক্টেরিয়া-ঘটিত সংক্রমণ নিরাময়ে দারুণ কাজ করে।
২) অ্যালো ভেরা:
জিভের যে যে অংশে ফোস্কা পড়েছে, সেখানে অ্যালো ভেরা জেল মাখিয়ে রাখুন। মিনিট দুয়েক পর কুলকুচি করে ফেলুন। যে কোনও ক্ষত সারিয়ে, দ্রুত সেখানে নতুন কোষ তৈরি করতে আ্যালো ভেরা দারুণ কাজের।
৩) মধু:
ক্ষতস্থানে মধুর প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। মধুতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া মধু অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবেও কাজ করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই টোটকা মানলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
৪) নারকেল তেল:
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ নারকেল তেল। জিভের ফোস্কা সারাতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে এই উপাদানটিও দারুণ কাজের।
৫) ক্যামোমাইল টি:
ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ ক্যামোমাইল চা স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে। অনিদ্রাজনিত সমস্যাতেও এই চা বেশ উপকারী। অনেকেই হয়তো জানেন না, ক্যামোমাইলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই জিভের ফোস্কা সারাতে এই পানীয়টি বেশ কাজের।