ডায়বেটিক রোগীরা কোন ফল খেতে পারেন? ছবি: শাটারস্টক
শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বাঁধলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে অনেক রকম বিধিনিষেধ। গরমে শরীর সুস্থ রাখতে ফল খাওয়ার কথা বলে থাকেন সকলে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসাও করতে হয় ফলের উপর। কিন্তু সব ফলের কি একই ধরনের প্রভাব পড়ে শরীরের উপর? এক-একটি ফলের এক-এক ধরনের খাদ্যগুণ। ফল খাওয়ার আগে তা-ও জেনে নেওয়া জরুরি।ডায়াবিটিসে যেমন মিষ্টি খেতে নিষেধ করা হয়। যেমন নিষেধাজ্ঞা থাকে বিভিন্ন ধরনের কার্বোহাইড্রেটের উপর, তেমন ফলও খেতে হবে বাছাই করে।কোন ফলের মিষ্টত্বের পিছনে ঠিক কতটা শর্করা আছে, তা জেনে নেওয়া দরকার। যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে, অন্তত তাঁদের এ কথা জানতেই হবে। অনেকেই জানেন আমে শর্করার মাত্রা বেশ কিছুটা বেশি। অন্য বহু ফলের তুলনায় বেশি মিষ্টিও হয় আম। তাই সাধারণত ডায়াবিটিসের রোগীদের বেশি আম খেতে বারণ করে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কোন ফল খাবেন তাঁরা? সে কথাও যে জানতে হবে।
পাকা পেঁপে: একটি বড় টুকরো পেঁপেতে ৬ গ্রাম চিনি থাকে। যেখানে একটি পাকা আমে থাকে ৪৫ গ্রাম। ফলে ডায়াবিটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তেই পাকা পেঁপে খেয়ে ফেলতে পারেন মধ্যাহ্নভোজ কিংবা প্রাতরাশের পর।
অ্যাভোকেডো: একটি গোটা অ্যাভোকেডোতে থাকে মাত্র ১.৩৩ গ্রাম চিনি। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ফল আদর্শ। স্যালাডে দিন কিংবা স্যান্ডউইচে, যত ইচ্ছা অ্যাভোকেডো খাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
তরমুজ: গরমে শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে তরমুজ খেতে পারেন ডায়বিটিসের রোগীরা। বড় এক কাপ তরমুজে ১০ গ্রামেরও কম চিনি থাকে। সাধারণত অতটা তরমুজ কেউই খেতে পারেন না।
স্ট্রবেরি: যে কোনও বেরি জাতীয় ফল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিশ্চিতে এই ফল খাওয়াই যায়। পেয়ারা: এই ফল খেলেও ডায়াবিটিস বাড়ে না। এই ফলে ভিটামিন সি এবং লাইকোপিন ভাল মাত্রায় থাকে।
লেবুজাতীয় ফল: কমলালেবু, মুসম্বির মতো ফলও খেতে পারেন। শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, এই ফল রক্তচাপ বেশি রয়েছে এমন রোগীদের জন্যেও উপকারী।