ক্ষতি হবে জেনেও রাস্তার ধারের মুখরোচক খাবারের টান এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। ছবি: সংগৃহীত।
যতই ডায়েট করুন না কেন, দোকানে রং-বেরঙের প্যাকেট ঝুলতে দেখলে কিংবা খাবারের ভাল গন্ধ পেলে পেটের ইঁদুরকে আটকে রাখা মুশকিল। হয়তো সেই সব খাবারের কোনও রকম পুষ্টিগুণ নেই। খেলে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তা সত্ত্বেও রাস্তার ধারের মুখরোচক খাবারের টান এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। সঙ্গে খুদে থাকলে তো কথাই নেই। চিপ্স, চকোলেট কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। তবে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলছেন, সাধারণত মানুষ পছন্দ করেন এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
১) প্রক্রিয়াজাত মাংস:
দোকান থেকে কেটে আনা টাটকা মাংস খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে এই মাংস থেকে বেকন, সসেজ, সালামি তৈরি করার সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, নানা রকম রাসায়নিক যোগ করতে হয়। যা মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
২) প্যাকেটজাত খাবার
বিস্কুট, চিপ্স, কুকির মতো সাধারণ কিছু খাবারের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং কৃত্রিম সব রাসায়নিক থাকে। এই ট্রান্সফ্যাটের সঙ্গে কিন্তু হার্ট এবং ক্যানসারের যোগ রয়েছে। এই ধরনের খাবার খেলে বাড়তে পারে স্থূলত্ব। ক্যানসারের অনেকগুলি কারণের মধ্যে সেটিও একটি কারণ।
৩) চিনি দেওয়া পানীয়
অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয় খেতে ভালবাসেন? এই ধরনের পানীয় কিন্তু স্থূলত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে স্থূলত্বের সমস্যা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪) ক্যানবন্দি খাবার
দীর্ঘ দিন পর্যন্ত বেক্ড বিন্স, কর্ন, অলিভ, মাশরুম ভাল রাখার জন্য বিসফেনল এ (বিপিএ) ব্যবহার করা হয়। শরীরে এই রাসায়নিক অতিরিক্ত হয়ে গেলে হরমোনের হেরফের ঘটে। স্তন এবং প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
৫) মাইক্রোওয়েভ করা পপকর্ন
দোকান থেকে কিনে আনা প্যাকেটজাত ভুট্টার বীজ বিশেষ একটি দ্রবণে ভেজানো থাকে। তা থেকে খই তৈরি করার জন্য অনেকেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মাইক্রোওয়েভে সেগুলি গরম করতে দেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই দ্রবণের মধ্যে পারফ্লুয়োরোঅক্টানোয়িক অ্যাসিড (পিএফওএ) নামক একটি উপাদান থাকে। তা কিডনি, অণ্ডকোষ, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।