স্কুলের ক্লাসঘরে সংসার পেতেছেন শিক্ষিকা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে আশ্রয়হীন মানুষদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। ক্লাবঘর, স্কুল, কলেজের মতো উঁচু পাকাবাড়ি খুলে দেওয়া হয় তাঁদের ব্যবহারের জন্য। তবে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সরকারি কোনও সম্পত্তিই ব্যবহার করা যায় না। তা জানা সত্ত্বেও বিহারের জামুই জেলার বরদৌ এলাকার খাইরা গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ক্লাসঘরে সংসার পেতেছেন ওই স্কুলের দিদিমণি, অধ্যক্ষ শিলা হেমব্রম। সমাজমাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়ে বসেছে জেলার শিক্ষা দফতর।
জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশেই রয়েছে শিলার নিজস্ব পাকা বাড়ি। সেখানেই বেশ কিছু দিন ধরে চলছে মেরামতির কাজ। ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল শিলা তাই সংসারপত্র গুটিয়ে স্কুলেরই কয়েকটি ঘর দখল করে রেখেছেন। তবে, অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। শিলা নিজের বাড়ি তৈরির কাঁচামাল স্কুলের ক্লাসঘরেই মজুত করে রেখেছেন। সেই কাঁচামাল এক ঘর থেকে অন্য ঘরে বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করেছেন ওই স্কুলের পড়ুয়াদের।
সরকারি ওই আপগ্রেডেড মিড্ল স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রতিটি শ্রেণির জন্য আলাদা আলাদা ঘর থাকার কথা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ঘর ওই দিদিমণির থাকার এবং রান্নার কাজে লাগছে বলে তিনটি ঘরের মধ্যেই মানিয়ে গুছিয়ে বসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।
খবর চাউর হতেই মুখ খোলেন স্কুলের অধ্যক্ষ শিলা হেমব্রম। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “স্কুলের কোনও ক্লাসঘর আমি দখল করিনি। বরং বিগত চার মাস ধরে অস্থায়ী ভাবে স্কুলের অফিস ঘরটি আমি ব্যবহার করছি। বাড়ি তৈরি হয়ে গেলেই আমি এই অফিস ঘরটি খালি করে দিতাম। কিন্তু অভিভাবকেরা যখন আঙুল তুলেছেন তখন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি অফিস ঘরটি ফাঁকা করে দেওয়ার চেষ্টা করব।” সাধারণ মানুষ এবং অভিভাবকদের অভিযোগ শুনে ওই জেলার এডুকেশন অফিসার কপিল দেও তিওয়ারি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।