Hearing Problems

আজকাল কি কানে কম শুনছেন? রোজের কিছু অভ্যাসই বিপদ বাড়াচ্ছে, প্রতিকারের উপায় কী?

শ্রবণশক্তি কমছে? আপনার কিছু অভ্যাস বিপদ বাড়িয়ে তুলছে না তো? কী কী খেয়াল রাখবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৫৮
Lifestyle tips to prevent hearing loss

কানে কম শুনছেন, কী করলে সমস্যা দূর হবে। ছবি: সংগৃহীত।

জোরে চেঁচিয়ে না ডাকলে কি আজকাল আর শুনতে পান না? এক কথা দু’বার করে বলতে হয়? কানে কম শোনার এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরেই। বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্ষীণ হয়ে যায় স্বাভাবিক নিয়মেই, কিন্তু কমবয়সিদেরও যে শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে, এর পিছনে কিন্তু বিবিধ কারণ রয়েছে। অনেকেই বলবেন, শব্দদূষণের কারণেই বিপদ বাড়ছে। তা ঠিক। তবে রোজের কিছু অভ্যাসও শ্রবণশক্তির ক্ষতি করছে। যেমন কানে হেডফোন গুঁজে জোরে গান শোনা, কনসার্টে, নাইট ক্লাবে তীব্র স্বরে মিউজ়িক, ক্রমাগত হর্নের শব্দ, কানে সব সময়ে ইয়ারপ্লাগ গুঁজে রাখা— এই সব অভ্যাস কম বয়স থেকেই কানের ক্ষতি করছে। তা হলে জেনে নিন, কী কী কারণে শ্রবণশক্তি কমতে পারে এবং তার প্রতিকারের উপায় কী?

Advertisement

১) দীর্ঘ দিন ধরে যদি কেউ ৮৫ ডেসিবেলের উপরে আওয়াজ শুনতে থাকেন, তা হলে শোনার ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাবে। রাস্তায় যানবাহন, হর্নের শব্দ, কোলাহলের শব্দমাত্রা ৯০-৯৫ ডেসিবেল। কানে হেডফোন গুঁজে উচ্চগ্রামে গান শুনলে তার শব্দমাত্রা পৌঁছতে পারে ১০৫-১২০ ডেসিবেলে। রান্নাঘরের মিক্সির শব্দ কম করেও ১১০-১২০ ডেসিবেল। আবার নাইট ক্লাব বা কোথাও তারস্বরে বক্স বাজালে তার শব্দমাত্রাও চলে যায় ১০০ ডেসিবেলের উপরে। অতএব এমন আওয়াজ যদি কানে সব সময় যেতে থাকে, তা হলে শ্রবণশক্তির উপরে প্রভাব পড়বেই।

২) কটন বাড তো বটেই, চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, কাঠি দিয়ে কান পরিষ্কার করেন অনেকেই। কানে বেশি খোঁচাখুঁচি করলে তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে। শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুদায়িত্ব পালন করে কান। কাজেই, কানের অন্দরমহল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার গুরুতর প্রভাব পড়বে শরীরেও।

৩) ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। দুধ, পনির, ডিম, বিভিন্ন রকম মাছ খেতে হবে। সবুজ শাকসব্জি ও ফল খেতে হবে বেশি করে।

৪) মাম্পস, হাম, টাইফয়েডের মতো রোগ হলে, তার পরে কানের সমস্যা হতে পারে। কানে সংক্রমণ হলে, জল জমে থাকলে অথবা ভিতরে পুঁজ জমলেও কম শোনার সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

৫) কিছু আসন আছে, যা নিয়মিত করতে হবে। এর জন্য অভ্যাস করতে পারেন মার্জারাসন। প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর এক বার পেট ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্তত পক্ষে ৫ মিনিট। এই আসন সকলেই করতে পারেন। বালাসন, পশ্চিমোত্তনাসনও খুবই কার্যকরী। তবে এই দুই আসন করার আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।

৬) অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। নেশার অভ্যাস কানের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।

৭) খুব আওয়াজ হচ্ছে। এমন জায়গায় গেলে বা যাঁরা কারখানায় শব্দের মধ্যে কাজ করছেন, তাঁরা ফোম ইয়ারপ্লাগ পরুন। নোংরা জলে স্নান করবেন না, তাতে কানে সংক্রমণ হতে পারে। যদি দেখেন, কানে যখন-তখন তালা লেগে যাচ্ছে, ঝিঁ ঝিঁ শব্দ হচ্ছে, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement