দোকান থেকে না কিনে, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি। ছবি : সংগৃহীত
উৎসবের মরসুম মানেই খাওয়াদাওয়া। আর তাতে মিষ্টি তো থাকবেই। সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। আত্মীয়, বন্ধু, প্রিয়জন, সকলের আগামী সময় আলোয় ভরে উঠুক, এই কামনা করে মিষ্টির বাক্স হাতে অতিথিরা বাড়িতে আসবেন। কিন্তু দীপাবলির মাসখানেক আগে থেকে সেই যে খাওয়ার পর্ব শুরু হয়েছে, তা যেন আর শেষই হতে চাইছে না। এত সব খাওয়াদাওয়া করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে গেলে কিন্তু নিজেকেই নানা রকম ফন্দি বার করতে হবে।
বাড়তি ওজন ঝরানোর জন্য দীপাবলির দিন থেকেই বিভিন্ন পন্থা কাজে লাগাতে পারেন। যাতে মিষ্টি বা চকোলেট খাওয়াও হয় এবং বাড়তি ক্যালোরির বোঝাও শরীরকে বইতে না হয়।
বাড়তি ক্যালোরিকে বশে আনতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না?
কী করবেন?
১) দোকান থেকে না কিনে, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি। দোকান থেকে কেনা মিষ্টির স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন এসেন্স, পরিশোধিত চিনি, অস্বাস্থ্যকর কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করলে এই সম্ভাবনা থাকে না।
২) কৃত্রিম রং বা বিভিন্ন এসেন্সের বদলে মিষ্টিতে ব্যবহার করতে পারেন ফলের মিষ্টি কাথ্ব। চিনির বদলে ব্যবহার করুন গুড়, মধু, খেজুর, খোবানি।
৩) ফাইবার সমৃদ্ধ গম, জোয়ার, বাজরা বা মিলেটের আটা ব্যবহার করা যায়।
৪) কাঠ বাদাম, আখরোট, পেস্তা, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, তিল বা তিসির মতো স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যোগ করতেই পারেন বাড়ির তৈরি মিষ্টিতে।
৫) ভাজা মিষ্টির ক্ষেত্রে তেলের ব্যবহার কমানোর জন্য বেকড্, ভাপা বা সেঁকার মতো বিকল্প বেছে নিতেই পারেন।
৬) ঠান্ডা নরম পানীয়ের বদলে ফলের রস, ডাবের জল, দইয়ের ঘোল, লেবুর ঠান্ডা শরবত দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করুন।
৭) টুকটাক মুখ চালানোর জন্য ফল দিয়ে বানিয়ে নিন স্যালাড।
কী করবেন না?
১) দীপাবলি উপলক্ষে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মিষ্টি বা চকোলেটের বাক্স আসা মাত্রই খেয়ে শেষ করে ফেলবেন না।
২) খিদে পেলেও মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে কিছু খাবেন না। কী খাচ্ছেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাচ্ছেন।
৩) উৎসব তো চলতেই থাকবে। তাই বলে শরীরচর্চা বন্ধ করলে চলবে না।
৪) ধূমপান বা মদ্যপান না করলেই ভাল।