কালীপুজো উদ্যাপনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে বাজিপোড়ানো। প্রতীকী ছবি।
আলোর উৎসবে সেজে উঠেছে সারা দেশ। শহর জুড়ে আলোর মাখামাখি। দীপান্বিতা কালীপুজোর উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেকেই। কালীপুজো উপলক্ষে নতুন পোশাক কেনার চল খুব একটা দেখা যায় না। তবে কালীপুজো উদ্যাপনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে বাজিপোড়ানো। বাড়ির ছোটদের অন্যতম উচ্ছ্বাসের একটা জায়গা এই বাজি। তবে শুধু ছোটরা কেন, বড়দের অংশগ্রহণও কম নয়। রাস্তার ধারের অস্থায়ী বাজির দোকানগুলিতে বাজি কেনার ঢল সে কথা মনে করাচ্ছে।
তবে বাজি পোড়ালেই হল না, সাবধানে থাকাও জরুরি। বাজির আগুন যেন উৎসবের আনন্দ মাটি করে না দিতে পারে। বাজির সলতেতে আগুন ধরাতে গিয়ে অনেক সময় ছোটখাটো বিপদ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বাজি পোড়ানোর আনন্দে মেতে ওঠার আগে কিছু সুরক্ষা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
১) বাজি ধরানোর আগে এক বালতি জল পাশে রাখুন। অসতর্কতাবশত কোনও কারণে যদি হাতে আগুনের ফুলকি এসে লাগে, সেই মুহূর্তে জলে হাত ডুবিয়ে নিন। এতে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা অনেকটা কমবে।
২) শুধু জল নয়, সঙ্গে রাখুন ব্যান্ড এড, তুলো, গজ, পোড়ার মলম, ব্যথার ওষুধ এবং ব্যান্ডেজ। উচ্ছ্বাস, আনন্দ, উত্তেজনার সময়ে যদি কোনও আঘাত লাগে সেই মুহূর্তে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এগুলি প্রয়োজন।
৩) চরকি এবং তারাবাজি পো়ড়ানোর সময়ে সতর্ক থাকতে বলা হয় কারণ, এই বাজিগুলি থেকে আগুনের ফুলকি এসে চোখে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। সুতির নরম কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিন। চোখের মধ্যে অস্বস্তি বাড়লে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪) বাজির সলতেতে আগুন দিতে গিয়ে হাত পুড়ে গেলে ফেলে রাখবেন না। প্রথমেই ঠান্ডা জলে হাত ধুয়ে নিন। তার পর পুরু করে পোড়ার মলম ক্ষতের উপর লাগিয়ে নিন। তার উপর একটি ব্যান্ডেজ বেঁধে নিতে পারেন। সুরক্ষিত থাকবে ক্ষতস্থান।
৫) শিশুদের একা একা বাজি পোড়াতে দেবেন না। তাদের সঙ্গে থাকুন। নিজেদের নজরদারিতে রাখুন। বাজি পোড়ানোর সময়ে সিন্থেটিক কাপড়ের জামকাপড় নিজে পরবেন না, শিশুদেরও পরাবেন না। আগুনের ফুলকি এসে যে কোনও সময়ে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।
৬) শিশুদেরও আগুন থেকে ঘটা সম্ভাব্য বিপদের সম্পর্কে জানিয়ে রাখুন। তাতে সুবিধা হবে।