Kankrol

৫ কারণ: বর্ষার মরসুমে উচ্ছে-করলার সঙ্গে কাঁকরোলও খেতে হবে

উচ্ছে-করলা বা হিঞ্চে শাকের তুলনায় কাঁকরোল পিছিয়ে থাকলেও কাঁকরোলের পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৫
Image of Kankrol

ছবি: প্রতীকী

উচ্ছে, করলা খেতে পছন্দ করেন না। তবে রেস্তরাঁয় গিয়ে কোনও এক বার ‘স্টাফ্‌ড কাঁকরোল’ খেয়ে বেশ মনে ধরেছিল। সেই থেকে প্রায়ই বাজার থেকে কিনে আনেন। শরীর, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মরসুমি সব্জি খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে তেতো হলেও উচ্ছে-করলা বা নিদেনপক্ষে হিঞ্চে শাকের যে কদর, তুলনায় কাঁকরোল বোধ হয় একটু পিছিয়েই রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উচ্ছে বা করলার মতো তেতো না হলেও কাঁকরোলের গুণ কিছু কম নয়। ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য জরুরি পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁকরোল কিন্তু রোগ প্রতিরোধশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আরও কিছু গুণ রয়েছে কাঁকরোলের।

Advertisement

১) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

ওজন নিয়ন্ত্রণের মূল কথাই হল কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া। সে দিক থেকে কাঁকরোল অনেকটাই এগিয়ে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম কাঁকরোলে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ১৭। তা ছাড়া এই সব্জিতে জলের পরিমাণও বেশি। সুষম খাবারের তালিকায় রাখা যেতেই পারে কাঁকরোল।

২) চোখের জন্য ভাল

কাঁকরোলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের পেশি মজবুত করতে কাঁকরোল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৩) তারুণ্য ধরে রাখে

কাঁকরোলে ‘আলফা-ক্যারোটিন’, ‘লুটেইন’, ‘বিটা-ক্যারোটিন’ এবং ‘জ়িজ়ানন্থিনস’-এর মতো অজস্র ‘অ্যান্টি এজিং’ যৌগ রয়েছে। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

৪) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কাঁকরোল। ফলে রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থেকে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। এ ছাড়াও কাঁকরোলের ‘হাইপোগ্লাইসেমিক’ যৌগগুলি অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলিকে সুরক্ষিত রাখতেও সাহায্য করে।

৫) হজমে সহায়তা করে

কাঁকরোলে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। যা অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে বিপাকহার উন্নত হয়। ফাইবারের গুণে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে।

Advertisement
আরও পড়ুন