—প্রতীকী ছবি।
দু’বছর ধরে একই সংস্থায় চাকরি করছিলেন তরুণী। অফিসের অন্য সহকর্মীদের তুলনায় তাঁর বয়স কম। তাই মাঝেমধ্যেই ঊর্ধ্বতনেরা বয়স নিয়ে তাঁর সঙ্গে খুনসুটি করতেন। বক্রোক্তি করতেও ছাড়তেন না অনেকে। এমনকি, অফিসে সেই তরুণী কী ধরনের জুতো পরে গিয়েছেন তা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার শেষ ছিল না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সেই জুতো পছন্দ না-হওয়ায় চাকরি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল তরুণীকে।
ঘটনাটি ব্রিটেনের এক বেসরকারি সংস্থার দফতরের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ২০ বছর বয়সি ওই তরুণীর নাম এলিজাবেথ বেনাসি। ২০২২ সালে এই সংস্থায় চাকরি করতে শুরু করেন তিনি। চাকরি শুরুর সময় এলিজাবেথের বয়স ছিল ১৮ বছর। তাঁর তুলনায় অফিসের অন্য সহকর্মীরা বয়সে বড় ছিলেন। এলিজাবেথের বয়স কম হওয়ার তাঁর অপরিণত আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এক দিন অফিসে এলিজাবেথ এমন এক জুতো পরে যান যা সাধারণত দৌড়নো অথবা খেলাধুলার সময় পরা হয়।
সেই জুতো মনে ধরেনি এলিজাবেথের সহকর্মীদের। তা নিয়ে তরুণীকে নানা রকম কথা শোনাতে থাকেন তাঁরা। অথচ অন্য এক সহকর্মী একই ধরনের জুতো পরে গেলেও তাঁকে কিছু বলা হয়নি, এমনটাই দাবি এলিজাবেথের। কর্তৃপক্ষের জুতো অপছন্দ হওয়ার কারণে এলিজাবেথের চাকরি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ‘এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইব্যুনাল’-এর দ্বারস্থ হন তরুণী। সব সময় যে তাঁকে বয়সের জন্য খোঁটা দেওয়া হত এবং জুতো অপছন্দ হওয়ার কারণে যে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এলিজাবেথের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সংস্থার তরফে তরুণীকে ৩০ হাজার পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ লক্ষ টাকার বেশি) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।