ছবি: প্রতীকী
চিঁড়ে হোক বা গোবিন্দভোগ চাল, পোলাও রান্নায় হাত টেনে কাজুবাদাম দেওয়া ঘোরতর অন্যায়। কিন্তু যাঁরা ওজন ঝরানোর মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন, তাঁদের কাছে কাজু ব্রাত্য। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে খাবার খেলেও তার মধ্যে বিভিন্ন রকম বাদাম রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তাঁদের মতে, এই বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ওজন কমাতে গিয়ে এমন অনেক খাবারই বাদ দিতে হয়, যার মধ্যে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। অথচ গ্লুকোজ় বা শর্করা ছাড়াও এই চর্বিজাতীয় খাবার থেকেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। যা সারা দিনের বিভিন্ন রকম কাজে এনার্জি জোগায়। তাই কাজুবাদাম খেলেই যে ওজন বেড়ে যাবে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ সত্য নয়। আবার, ওজনে প্রভাব ফেলবে না জেনে মুঠো মুঠো কাজুবাদাম খেয়ে ফেলাও কিন্তু কাজের কথা নয়। কাজুবাদাম খেতে হবে, তবে পরিমিত পরিমাণে। সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। ওজন ঝরানোর মূল কথা হল ক্যালোরি পোড়ানো। যে খাবারই খান না কেন, সেখান থেকে শোষিত পুষ্টিগুণ সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে না পারলে ওজন ঝরানো সম্ভব নয়।
শক্তির জোগান দেওয়া ছাড়াও আর কোন কোন উপকারে লাগে কাজুবাদাম?
১) কাজুবদামে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এই প্রোটিন শক্তির জোগান দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কাজুতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি১ এবং বি৬। তাই পরিমিত পরিমাণে কাজু খাওয়া যেতেই পারে।
২) কাজুবাদামে রয়েছে কপার, আয়রন, ম্যাগলেশিয়াম, জিঙ্ক এবং পটাশিয়ামের মতো অত্যন্ত জরুরি কিছু খনিজ। যে খনিজগুলি শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত।
৩) মন ভাল রাখতে সাহায্য করে সেরেটোনিন হরমোন। কাজুতে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড, যা এই ‘সেরেটোনিন’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।
৪) উদ্ভিজ্জ সমস্ত খাবারের মধ্যে কাজুতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আসলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৫) কাজুবাদামে রয়েছে ‘প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন’ নামক এক ধরনের ফ্ল্যাভোনল। যা আসলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতি দিন গড়ে ১৫০ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভোনল শরীরে যাওয়া প্রয়োজন। প্রতি দিন ৫ থেকে ৬টি কাজুবাদাম খেলে ওই পরিমাণ ফ্ল্যাভোনল পাওয়া যায় সহজেই।