মুগডাল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ভাতের সঙ্গে তরকারি, মাছ, মাংস— যা-ই থাকুক না কেন, ডাল না হলে চলে না। সাধারণ গেরস্ত বাড়িতে মুগডাল খাওয়ার চলই বেশি। যে হেতু মুসুর ডালে প্রোটিন বেশি, তাই অনেকেরই ধারণা, এই ডাল বেশি খাওয়া ভাল না। সাধারণ খিচুড়ি হোক বা মাছের মাথা দিয়ে ডাল— মুগের প্রাধান্যই বেশি। আবার, গরমকালে লাউ কিংবা আম দিয়ে মুগডালের পদ, তা-ও বেশ উপাদেয়। তবে, পেটে গ্যাস বা অম্বল হওয়ার ভয়ে অনেকেই মুগডাল বেশি খেতে চান না। কিন্তু, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অন্যান্য ডালের চেয়ে মুগডালের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। মুসুরের মতো না হলেও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে মুগডালও বেশ ভাল।
মুগডাল খেলে শরীরের আর কী কী উপকার হয়?
১) মুগডালে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। তাই রোজ খেলেও ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
২) মুগডালের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা-ও দূর করে। অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে মুগডাল।
৩) মুগডালের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি-র মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ। যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং কায়িক পরিশ্রম করতে সাহায্য করে। মুগডালের মধ্যে যে আয়রন রয়েছে, তা রক্তাল্পতা নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪) অঙ্কুরিত সবুজ মুগ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। কারণ, এই ডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে ওঠানামা করে না।
৫) ত্বকে জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে মুগডাল। কারণ, এই ডালের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই। এই দু’টি ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করে।