বিরাট কোহলি হঠাৎ বরফজলে ডুব দিচ্ছেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে তারকাদের ‘আইস ওয়াটার বাথ’ নেওয়ার ছবি। সে ক্রিকেট হোক বা রুপোলি পর্দা— সব ক্ষেত্রের তারকারাই ডুব দিচ্ছেন কনকনে ঠান্ডা জলে। হলিউডে কিম কার্দাশিয়ান থেকে কেট মিডলটন, বলিউডে রকুল প্রীত থেকে বিদ্যুৎ জামওয়াল— সকলেই ডুব দিচ্ছেন বরফগলা জলে। সম্প্রতি বিরাট কোহলিকেও দেখা গিয়েছে বরফজলে স্নান করতে। দক্ষিণী অভিনেত্রী সমান্থা রুথ প্রভুও বাদ যাননি তালিকা থেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘আইস ওয়াটার বাথ’ বা বরফজলে স্নান আসলে এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ‘ক্রায়োথেরাপি’ নামে পরিচিত।
কী ভাবে করতে হয় এই থেরাপি?
বাথটবে জলের তাপমাত্রা রাখতে হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০ থেকে ৫৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। সেই জলের মধ্যে গোটা শরীর ডুবিয়ে বসে থাকতে হয় প্রায় মিনিট পনেরো।
কনকনে বরফজলে স্নান করলে কী উপকার মেলে?
ফিটনেসবিদদের মতে, ‘ক্রায়োথেরাপি’ বিপাকহার বাড়িয়ে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এই থেরাপির সময় শরীর গরম করার জন্য শরীরের আনাচকানাচে জমে থাকা মেদ গলতে শুরু করে। শরীরচর্চা করার পর ক্রায়োথেরাপি করলে কাজ হয় দ্রুত। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে এই থেরাপির জনপ্রিয়তা বেশি।
১) প্রদাহনাশ করে
শরীরচর্চা করেই হোক বা অন্য যে কোনও কারণে, দেহে প্রদাহ হলে, তা নির্মূল করতে পারে এই কনকনে ঠান্ডা জল।
২) পেশির ব্যথা কমে
শরীরচর্চা করার পর পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। সমান্থার পেশি সংক্রান্ত অসুস্থতার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। পেশির এই ব্যথা নিরাময় করতে পারে বরফগলা জল। ক্রিকেট প্র্যাকটিস করার পর পেশির ব্যথায় আরাম পেতে বিরাটও তাই হয়তো এই থেরাপির শরণ নিয়েছেন।
৩) রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে
বরফগলা জল দেহে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে যায় সহজেই।
৪) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের চাপ সামাল দিতেই কি সমান্থা এমন কনকনে জলে স্নান করছেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন ঠান্ডা জলে স্নান করলে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫) আঘাত নিরাময় করে
শরীরের কোনও জায়গায় আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। বরফগলা জল সেই আঘাত নিরাময়েও সাহায্য করে।