Swimmer’s Ear Syndrome

সাঁতার কাটলেই কি ‘সুইমারস্‌ ইয়ার’ হয়? এই রোগের লক্ষণই বা কী?

এই ধরনের সমস্যা সাঁতারুদের মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়। ‘সুইমারস্‌ ইয়ার’ নামে পরিচিত হলেও পোশাকি নাম ‘ওটিটিস এক্সটার্না’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৭:৫৭
All you need to know about Swimmer’s Ear and how to prevent it

কানের ভিতর সারা ক্ষণ চুলকায়? ছবি: সংগৃহীত।

গরমের দাপট থেকে বাঁচতে বেশ কিছু দিন টানা পুলে গিয়ে সাঁতার কেটেছেন। সময়ের অভাবে রোজ সাঁতার কাটা হয় না। দীর্ঘ দিন পর জলের মধ্যে এত হাত-পা নাড়লে পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে, চিন্তা ধরাচ্ছে কান। মাঝে মধ্যেই ব্যথা-যন্ত্রণা হচ্ছে। কানে নানা রকম অস্বস্তিও হচ্ছে। জল ঢুকেছে ভেবে বার কয়েক কানে কাঠির খোঁচাও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা সাঁতারুদের মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়। ‘সুইমারস্‌ ইয়ার’ নামে পরিচিত হলেও পোশাকি নাম ‘ওটিটিস এক্সটার্না’। তবে, শুধু কানে জল ঢুকলেই যে এই ধরনের সমস্যা হয়, তা নয়। জলের সঙ্গে কানের ভিতর ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ফাঙ্গি প্রবেশ করলে ‘সুইমারস্‌ ইয়ার’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার উপর অসাবধানে কানে কাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচি করলে সংক্রমণ বেড়ে যায়।

অনেকেই মনে করেন, শুধু মাত্র সাঁতার কাটলেই বোধ হয় এই রোগ হতে পারে। তা কিন্তু নয়। দীর্ঘ ক্ষণ শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে স্নান করলেও কানের ভিতর জল জমতে পারে। কানের মধ্যে অতিরিক্ত ঘাম থেকেও কিন্তু এই ধরনের সংক্রমণ হয়।

কানে ‘ওটিটিস এক্সটার্না’ হল কি না বুঝবেন কী করে?

১) এই রোগে আক্রান্ত হলে কানের পাতা লাল হয়ে যায়। অনেকেরই কানের পাতা চুলকায়।

২) কথা বলা কিংবা চিবোনোর সময়ে কানের গোড়ায় ব্যথা হতে পারে।

৩) কান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত তরল নির্গত হতে দেখলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

৪) কানে কম শোনা কিংবা চাপ অনুভব করলেও সাবধান হতে হবে।

৫) কানে সংক্রমণ হলে অনেকেরই জ্বর আসে। কানে ব্যথার সঙ্গে ঘন ঘন জ্বর এলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

All you need to know about Swimmer’s Ear and how to prevent it

এই রোগে আক্রান্ত হলে কানের পাতা লাল হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?

১) স্নান করা বা সাঁতার কাটার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে কান ভাল করে মুছে নিতে হবে। কানে যাতে জল জমতে না পারে, সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।

২) কানে অস্বস্তি হলেই আঙুল, কাঠি, সোয়্যাব কিংবা পেন গোঁজা যাবে না। এই প্রবণতা মোটেই ভাল নয়। অসাবধানে কানের পর্দায় খোঁচা লাগলে বিপদ বেড়ে যেতে পারে।

৩) সাঁতার কাটার সময়ে কানে জল ঢুকে যেতেই পারে। সে ক্ষেত্রে ‘ইয়ারপ্লাগ’ ব্যবহার করা যায়। প্রতি বার কানে প্লাগ ব্যবহার করার পর তা ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement