বিয়ে করেও বান্ধবীকে ভোলেননি যুবক। ছবি: সংগৃহীত।
২০ দিনের মধ্যে দু’বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে বিহার জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন বিনোদ কুমার। ওই ক’দিনের মধ্যেই দু’জন মহিলার বাড়িতে ধরা পড়েন বিনোদ। গ্রামবাসীরাই দুই মহিলার বাড়ি থেকে পাকড়াও করেন যুবককে।
জামুই জেলার আকশরা গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ। সবার প্রথমে এক বিবাহিত তরুণীর বাড়িতে ধরা পড়েন তিনি। প্রীতি কুমারী নামে এক মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় বিনোদের। প্রীতির আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তাঁর সন্তানও আছে। অনলাইনে বিনোদের সঙ্গে ভাব হওয়ার পর তাঁর প্রেমে পড়েন প্রীতি।
প্রীতির বাড়িতেই প্রথম বার দেখা করার পরিকল্পনা করেন দু’জনে। তবে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা। গ্রামবাসীরাই জোর করেই মন্দিরে গিয়ে প্রীতি ও বিনোদের বিয়ে দেন। বিয়ের পরেই একসঙ্গে পরিবারের মতো থাকতে শুরু করেন তাঁরা।
তবে বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় প্রীতি-বিনোদের গল্পে আসে গিরিজা কুমারীর নাম। বিয়ের আগে গিরিজার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বিনোদ। বিয়ের পরেও সেই বান্ধবীর সঙ্গে আলাপ-সাক্ষাৎ চালিয়ে যান তিনি। বিনোদের বিয়ের সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না গিরিজার। গিরিজার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে আবারও গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়েন বিনোদ। গ্রামবাসীদের দাবিতে গিরিজার সঙ্গেও বিয়ে সারেন তিনি। ২০ দিনের মাথায় দু’বার গাটছড়া বাঁধেন বিনোদ।
বিনোদের দ্বিতীয় বিয়ের পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন প্রথম স্ত্রী প্রীতি। তবে বিনোদের দ্বিতীয় স্ত্রী গিরিজার অবশ্য প্রীতির সঙ্গে থাকতে কোনও আপত্তি নেই। স্বামী আর সতীনকে নিয়েই সংসার করতে চান গিরিজা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও তাঁদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি, অভিযোগ পেলেই তাঁরা মামলাটি খতিয়ে দেখবেন।