ধূমপান-সহ জীবনযাপনে নানা বদভ্যাসের কারণে বাড়ছে ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও ঘন ঘন মূত্রের বেগ আসা, কখনও প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা ভাব— এ ধরনের অস্বস্তি হলেও চিকিৎসকের কাছে যান না অধিকাংশ মানুষই। কেউ লোকলজ্জার ভয় পান, কেউ আবার ততটাও সচেতন নন বিষয়গুলি নিয়ে।
ধূমপান-সহ জীবনযাপনে নানা বদভ্যাসের কারণে বাড়ছে ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি। যদিও ক্যানসার বয়সের তোয়াক্কা করে না, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ উত্তীর্ণদের মধ্যে ব্লাডার ক্যানসার বেশি দেখা যায়। সোমবার সন্ধ্যায় ব্লাডার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারালেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২।
চিকিৎসকদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। মূত্রথলিতে ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ ধূমপান। ধূমপায়ীদের মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি অ-ধূমপায়ীদের থেকে অনেক গুণ বেশি। এ ছাড়া, যাঁরা প্রস্রাবের ক্রনিক সংক্রমণে ভোগেন, তাঁদেরও এই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, এই প্রকার কর্কট রোগের প্রধান উপসর্গ হল মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত। কখনও গাঢ় লাল রঙের রক্তপাত, কখনও হালকা রঙের। এই উপসর্গ দেখলে কখনওই ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আর কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১. বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা।
২. সারা দিনে বহু বার প্রস্রাবের বেগ আসে, কিন্তু প্রস্রাব হয় না, আটকে যায়।
৩. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখতে পাওয়া বা কালচে রঙের প্রস্রাব হওয়া, সঙ্গে থাকে জ্বালাভাব।
৪. প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা।
৫. তলপেট আর কোমরে তীব্র যন্ত্রণা।
এই অসুখ শুরুতে ধরা পড়লে সার্জারি, রেডিয়োথেরাপিও কেমোথেরাপির সাহায্যে অসুখের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে মূত্রথলি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে কৃত্রিম ‘ব্লাডার’ প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এই রোগে এক বার আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। তবে একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এর হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। তাই কোনও রকম উপসর্গকেই হালকা ভাবে না নেওয়াই ভাল।