মাম্পস কেন হয়? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছরই আবহাওয়া বদলের সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। তবে, এ বছর দক্ষিণের রাজ্য কেরলে মাম্পস প্রায় মহামারির আকার নিয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এক মাসে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল সে রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সেই একই রোগে কিন্তু এই রাজ্যের শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই মাম্পসের মতো সংক্রামক ব্যাধিকে ভয় না পেয়ে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
মাম্পস কী?
করোনার মতোই সংক্রামক, ভাইরাস বাহিত একটি রোগ হল মাম্পস। রুবেলা গোত্রের অন্তর্গত একটি ভাইরাস হল প্যারামিক্সো। যার আক্রমণে মাম্পস হয়। প্রথমে একেবারেই সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তার পর গাল, কানের পাশ ফুলতে থাকে। প্রবল যন্ত্রণা হয়।
দ্রুত মাম্পস ছড়িয়ে পড়ছে কেন?
মাম্পস কিন্তু ছোঁয়াচে। বাড়ির কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর থাকা, খাওয়ার আলাদা ব্যবস্থা করাই শ্রেয়। যাঁদের বাড়িতে তেমন জায়গার অভাব রয়েছে, সেখানে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সঠিক সময়ে মিজ়ল্স, মাম্পস এবং রুবেলার টিকা না নিলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তা ছাড়া যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই দুর্বল, তাঁরাও চট করে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
চিকিৎসকেরা বলছেন, কানের নীচে প্যারোটিড গ্ল্যান্ড ফুলে লাল হয়ে গেলে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। তা ছাড়া মাম্পস হলে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, ক্লান্তি, খাবারে অনীহা দেখা দিতে পারে। খাবার গিলতে, চিবোতেও সমস্যা হতে পারে। জল বা তরল খাবার খেতেও কারও কারও সমস্যা হতে পারে।