পেঁয়াজ কোন কোন রোগের দাওয়াই? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে তো বটেই, রেস্তরাঁয় খেতে গেলেও স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজ দিতে বারণ করেন। কারণ, পেঁয়াজের অস্বস্তিকর গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। অনেকের আবার কাঁচা পেঁয়াজ খেলে চোঁয়া ঢেকুর ওঠে, হজমের সমস্যা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন অন্য কথা। পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে পেঁয়াজ খেলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেমন কারও যদি হজমের গোলমাল থাকে সে ক্ষেত্রে রাতে তা না খাওয়াই ভাল। আবার সকালে জলখাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তবে, পেঁয়াজের মধ্যে যে সব উপাদান রয়েছে, তা আদতে শরীরের জন্য ভাল। তা ছাড়া গরমকালে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকে।
পেঁয়াজে এমন কী কী আছে যা খেলে শরীর ভাল থাকতে পারে?
১) ফাইবার বেশি
পেঁয়াজ খেলে অনেকেরই চোঁয়া ঢেকুর ওঠে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে তা খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। অন্ত্র ভাল রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মেটাতেও পেঁয়াজ বেশ কার্যকর।
২) অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ
ফ্ল্যাভনয়েড এবং সালফারের মতো উপাদান প্রদাহনাশক হিসেবেই পরিচিত। পেঁয়াজের মধ্যে এই দুটি উপাদানই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে প্রদাহজনিত সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
৩) ভিটামিন সি
টকজাতীয় ফলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না পেঁয়াজের মধ্যেও ভিটামিন সি থাকে। আর থাকে ভিটামিন বি৬। বিপাকহার উন্নত করা থেকে স্নায়ুতন্ত্রের কাজ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে এই উপাদানগুলি।
৪) প্রিবায়োটিক উপাদান
পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ইনিউলিন নামক এক ধরনের ফাইবার। এই উপদানটি অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
৫) শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁয়াজের মধ্যে ইনসুলিন হরমোনের ‘সেনসিটিভিটি’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডায়েটে কাঁচা পেঁয়াজ রাখা জরুরি।