রাজের সঙ্গে পরীমণি
মাঘ মানেই পিঠে-পুলির গন্ধ আর সানাইয়ের সুর। মিষ্টিমুখের পাশাপাশি চার হাত এক অনেকেরই। শরিফুল রাজ-পরীমণির জীবনেও শীতেই বসন্ত! ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বাংলাদেশের নায়িকা। গত ১৭ অক্টোবর তিনি গোপনে বিয়ে সেরেছেন বাংলাদেশের নায়কের সঙ্গে। এ বার ঘটা করে আনুষ্ঠানিক সাতপাক। শুক্রবার সন্ধেয় উদযাপন শুরু গায়ে হলুদ দিয়ে। সেই ছবি প্রকাশ্যে শনিবার, নায়িকার ফেসবুকে। হলুদ সাজে, সজ্জায়, দু’জনেই যেন বসন্তের আবাহনে মগ্ন!
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, গিয়াসুদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ ছবিতে অভিনয় সূত্রে পরিচয় এবং প্রেম রাজ-পরীমণির। গোপনে বিয়েও করেন তাঁরা। রাজের আফতাব নগরের বাড়িতে বিয়ে হয় তাঁদের। যদিও সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে দেননি তারকা দম্পতি। এর পরেই জানুয়ারি মাসে দম্পতি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বেসরকারি হাসপাতালে আসেন। সেখানেই পরীক্ষার পরে জানতে পারেন মা হচ্ছেন নায়িকা! সেই সময় বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী তাঁর দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যুট শুরু হয় গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’। শ্যুট শুরুর মাত্র পাঁচ দিন পরে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন! রাজ বলেন, ‘‘আমরা ধুমধাম করে বিয়ে উদ্যাপন করতে চেয়েছিলাম। দু’জনের হাতেই বেশ কিছু কাজ। সে সব মিটলেই অনুষ্ঠান করব। তাই আর আগাম জানানো হয়নি।’’
সম্ভবত, হাতের কাজ কিছুটা সামলানোর পরেই উদযাপনে মেতেছেন তাঁরা। রাজের পরনে হলুদ রঙের পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, মাথায় পাগড়ি। পরীমণি পরির মতোই সুন্দরী হলুদ বাংলাদেশি শাড়িতে। খোলা চুলে সাজানো মরশুমি ফুল। অলঙ্কারে ঝলমলে তিনি। বাড়ি সেজেছে হলুদ গাঁদায়, শালুর পর্দায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়েরা। ‘রাজপরী’ লেখা কেক, রকমারি মিষ্টি, পায়েস, দই, হলুদ, পান, ফুলের স্তবক--- আয়োজনের কোনও ত্রুটি ছিল না। এসেছিলেন প্রযোজিকা চয়নিকা চৌধুরী। পরী তাঁকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন। ছিলেন চরকি প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার রেদওয়ান রনি। তিনি নায়িকার গায়ে হলুদ মাখিয়ে দেন। পরীমণির গায়ের হলুদ এর পরেই রাজের গায়ে হলুদ। দম্পতি একই সঙ্গে মেহেন্দিতেও হাত রাঙান।
শুক্রবার সন্ধেয় অধিবাস শনিবার সন্ধেয় কি তা হলে বিয়ে? এই খবর যদিও এখনও অজানা।