কেমন আছেন ঋতাভরী? ছবি: সংগৃহীত।
অস্ত্রোপচারের পরে বাড়ি ফিরেছেন সম্প্রতি। দু’দিন কাটতে না কাটতেই শুরু করেছিলেন মিনিয়েচার বানাতে। বিশ্রাম হয়নি। তার জেরে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। “মিনিয়েচার বানাতে বেশ তোড়জোড় লাগে। হাসপাতালে যাওয়ার আগে কিছুটা বানানো শুরু করেছিলাম। বাড়ি ফিরেই ওটা নিয়ে বসে গিয়েছিলাম। টানা দু’দিনের ধকল গিয়েছে শরীরের উপর। তার পরে যা অবস্থা!” আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর দিদিমারও পিত্তথলিতে পাথর হয়েছিল। তখন বিশেষ আমল দেননি, চিকিৎসাও করানো হয়নি। গাফিলতির কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ঋতাভরীর ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন পরিবারের সদস্যেরা। অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন আগে মুম্বইয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেন, কলকাতায় ফিরে অস্ত্রোপচার করাবেন।
তাঁর কথায়, “চার বছরে তিনটি অস্ত্রোপচার। এত ভুগছি কী বলব!” তবে কাজের উপর প্রভাব ফেলতে দেননি অভিনেত্রী। বললেন, “এমন নয় যে, কাজকর্ম থামিয়ে বসেছিলাম। এখন তো মনে হচ্ছে এটাই অভ্যাস করে ফেলতে হবে। বার বার শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই শুটিং করতে হবে।” চিকিৎসক অনুমতি দেন না নিশ্চয়ই? “ঠিকই বলেছেন, চিকিৎসক তো নিষেধ করেনই। কিন্তু যতটুকু পারি কাজ করি।”
অভিনেত্রী জানালেন, খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ বিধিনিষেধ নেই। তাঁর কথায়, “যখন খুব রোগা ছিলাম, এত ডায়েট করতাম, প্রায় কিছুই খেতাম না বলা চলে। এতে আমার শরীরের অনেক অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তথাকথিত রোগা চেহারার জন্য এগারো বছর টানা ডায়েট করে শরীরটাকে পুরো ভেঙে ফেলেছি আমি।” তাই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে স্বভাবে চঞ্চল হওয়ায় সুযোগ পেলেই উঠে পড়ছেন মিনিয়েচার বানাতে। ক্লান্ত হলে এলিয়ে পড়ছেন বিছানায়। “এত দুর্বল হয়ে পড়েছি। একই সঙ্গে রাগ আর বিরক্তি আসছে!” আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন অভিনেত্রী।
‘বহুরূপী’ ছবির ডাবিং শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। সহযোগিতা পেয়েছেন প্রযোজনা সংস্থার তরফে। ঋতাভরীর শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখেই তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ডাবিংয়ের কাজ সেরে, ১২ অগস্ট পাড়ি দেবেন পাপুয়া নিউ গিনিতে, নতুন ছবির শুটিংয়ে।