(বাঁ দিকে) ছোট ইয়ালিনি মা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের কোলে। একরত্তি সমুদ্রতটে (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
কখনও ছোট্ট মুঠি প্রকাশ্যে। কখনও তার খুদে পায়ের ছবি। রাজ চক্রবর্তী-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে ইয়ালিনির এমন ঝলকেই এত দিন সন্তুষ্ট ছিলেন অনুরাগীরা। সাত মাসে পা দিয়েছে একরত্তি। উল্টোরথে মা-বাবার কোলে চড়ে আকাশপথে সোজা পুরীতে ইয়ালিনি। সঙ্গী অবশ্যই দাদা ইউভান। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে পুরীতে পৌঁছয় চক্রবর্তী পরিবার। রাত ১১টা নাগাদ সপরিবারে তাঁরা মন্দিরে। একরত্তি নাকি একটুও কাঁদেনি! উল্টে দাদার সঙ্গে হইহই করে পুজো দেখেছে। মেয়েকে নিয়ে নাকি একটু দ্বিধায় ছিলেন রাজ-শুভশ্রীও। ইয়ালিনি কিন্তু তাঁর মা-বাবাকে একটুও সমস্যায় ফেলেনি।
চক্রবর্তী পরিবার কোথাও বেড়াতে গেলেই তার ছবি ভাগ করে নেয় অনুরাগীদের সঙ্গে। এ বারেও ব্যতিক্রম হয়নি। ছোট্ট ইউভান পুরীতে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে খেলায় মত্ত, এমনই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন রাজ। অন্য দিকে, শুভশ্রী ভাগ করে নিয়েছেন মেয়ের ছবি। না, এ বারেও তিনি মেয়ের মুখ দেখাননি। কিন্তু মেয়েকে অনেকটাই প্রকাশ্যে এনেছেন। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে মেয়েকে কোলে নিয়ে বিমানে বসে অভিনেত্রী। সাদা পোশাকে ইয়ালিনি যেন ‘পরি’। গোলাপি ফিতে দিয়ে মাথায় বাঁধা ছোট্ট ঝুঁটি। মায়ের কোলে চড়ে একমনে জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে। একটি ভিডিয়োও ভাগ করে নিয়েছেন নায়িকা। সেই ঝলক বলছে, দাদার মতোই সাগরতটে ছোট্ট ইয়ালিনিও। বালিতে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে সে। ছবি, ভিডিয়ো ভাগ করে শুভশ্রী বিবরণীতে লিখেছেন, ‘পরি’।
সুযোগ পেলেই রাজ-শুভশ্রী পুরীতে যান। এর আগে রাজ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির সবাই জগন্নাথদেবের ভক্ত। ঈশ্বর দর্শনে গেলে শান্তি পান। রথের দিন ব্যস্ততার কারণে এ বছর পুরী যেতে পারেননি তাঁরা। দুই বছর ধরে বাড়িতে আগের মতো জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে বিশেষ কোনও আয়োজনও করতে পারেননি। তাই উল্টোরথে ঝটিকা সফর। ১৫ অগস্টে মুক্তি পাবে প্রযোজক-পরিচালকের নতুন ছবি ‘বাবলি’। ১০ বছর পরে এই ছবিতে ফের আবীর চট্টোপাধ্যায়কে পরিচালনা করেছেন রাজ। আবীরের সঙ্গে এই ছবিতে প্রথম জুটি বাঁধলেন শুভশ্রী। রয়েছেন সৌরসেনী মৈত্রও। এও জানা গিয়েছে, ছবির সাফল্যের প্রার্থনা জানাতেও পুরীতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার তাঁরা ফিরেছেন কলকাতায়।