মাদক পার্টিতে থেকে একসঙ্গে আটক করা হয়েছিল আরবাজ এবং আরিয়ানকে।
আরিয়ান খান এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। দুই বন্ধু। দু’জনেই মাদক সংগ্রহ করতেন একই ব্যক্তির কাছ থেকে। আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। প্রথম জন তারকা-সন্তান। শাহরুখ খানের পুত্র। কিন্তু দ্বিতীয় জন, আরবাজের পরিচয় কী? কী-ই বা করেন তিনি?
আরবাজ মার্চান্ট ঠিক কী করেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। তবে ঘরোয়া পার্টিতে মাঝেমধ্যেই আরিয়ানের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। ইনস্টাগ্রামের নানা ফ্যানপেজে ছড়িয়ে তাঁদের অসংখ্য ছবি। শনিবার প্রমোদতরীর পার্টিতে একসঙ্গেই মাদক নিয়েছিলেন আরিয়ান এবং আরবাজ। কিন্তু তাঁদের নেশায় হাতেখড়ি সেই রাতে নয়। অন্তত তেমনই জানাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। শ্রেয়স নায়ার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অনুমান, আরিয়ানকে মাদকের জোগান দিতেন তিনি। আরিয়ান এবং আরবাজের মোবাইলের কথোপকথন ঘেঁটে শ্রেয়সের নাম পাওয়া গিয়েছে। সোমবারই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে।
আরবাজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটিও ‘প্রাইভেট’ করা। অর্থাৎ আরবাজের অনুমতি ছাড়া সেখানে তাঁর ছবি বা ভিডিয়ো দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে সামান্য গোয়েন্দাগিরি করলেই তাঁর বন্ধুবৃত্ত সম্পর্কে খানিক ধারণা মেলে। আরিয়ানই তাঁর একমাত্র তারকা বন্ধু নন। তালিকায় রয়েছেন অনন্যা পাণ্ডে (চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা), শানায়া কপূর (সঞ্জয় কপূরের কন্যা), অনন্যার তুতো ভাই অহন পাণ্ডের মতো তারকা-সন্তানরা। আরিয়ানের বোন সুহানা খানও আরবাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এঁরা প্রত্যেকেই ইনস্টাগ্রামে আরবাজের অনুগামী তালিকায় রয়েছেন।