করিনার বড় ছেলে তৈমুর ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
বাবা-মা দু’জনেই তারকা। তাঁরা সব সময় কাছাকাছি থাকবেন না। তাঁদের সঙ্গ ছাড়াই বড় হতে হবে, এ সব বুঝে গিয়েছে ছয় বছরের তৈমুর। সে তার বয়সের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে, জানেন মা করিনা কপূর। জানান, ছোট ছেলে জহাঙ্গিরও এখন দাদার সঙ্গে থেকে থেকে অনেক কিছু দ্রুত শিখছে। যদিও করিনা জোর দিয়ে বলেন, “ওরা দু’জনেই খুব দুষ্টু!”
সম্প্রতি, সংবাদসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে করিনা জানান, তিনি ছেলেদের বোঝাতে চান যে, তাদের বাবা-মা সংসার চালাতেই কাজ করেন। তাই সব সময় সঙ্গ দিতে পারেন না। বেবোর কথায়, “তৈমুরের যখন সাত মাস বয়স, তখনই ওকে রেখে আমি কাজে বেরোতে শুরু করি। ওরও অভ্যাস হয়ে যায় ব্যাপারটা। আমার আর সইফের তো বাইরে-বাইরেই কেটে যায়। আমরা ওদের বুঝিয়েছি, ভাল জীবন তৈরি করব বলেই কাজ করি।”
তবে করিনা বিশ্বাস করেন যে, তৈমুর তার নিজের গুণেই সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। তাঁর কথায়, “বড় ছেলে খুবই বুদ্ধিনান। ওর বোধজ্ঞান খুব তীক্ষ্ণ এবং বয়সের চেয়ে ও অনেকটাই এগিয়ে।” অভিনেত্রী আরও জানান, সারা দিন চারপাশের যা কিছু ওর মনে দাগ কাটে, সে সব এঁকে ফেলে তৈমুর। তার শৈল্পিক প্রতিভাও লক্ষণীয় বলে জানান করিনা। যদিও তৈমুর এবং জহাঙ্গির ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়। তাদের আলাদা আলাদা পেজ রয়েছে। ভক্ত-অনুরাগীও উপচে পড়ছে। সম্প্রতি দুই ছেলের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলেই ছুটি নিয়ে বিদেশে উড়ে গিয়েছিলেন সইফ-করিনা।
তার পরই কর্মব্যস্ততায় ডুবে গিয়েছেন করিনা। হাতে তাঁর প্রথম প্রযোজনার কাজ। তা ছাড়াও একগুচ্ছ ছবি ঝুলিতে। আগামী ৩০ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে ‘বিক্রম বেধা’, সেখানেও অভিনয় করেছেন করিনা।