বেরিয়ে এল ধর্মেন্দ্রর মদ্যপান ছাড়ার কাহিনি।
পেল্লায় জলের ট্যাঙ্কের মাথায় চড়ে বীরু। বেহেড মাতাল। বাসন্তীকে না পেলে স্রেফ ‘সুসাইড’!
বলিউড ছবির কালজয়ী কমেডি দৃশ্য হিসেবে প্রায় কিংবদন্তি হয়ে গিয়েছে ‘শোলে’র এই বিখ্যাত মুহূর্ত। কিন্তু জানেন কি বাস্তবের ধর্মেন্দ্র মদে চুর হয়ে থাকার অভ্যাস পাল্টে ফেলেছিলেন বলিউডেরই এক নায়িকার এক কথাতেই? ভারতীয় ছবির ‘হি ম্যান’-এর ৮৫ তম জন্মদিনে রইল সেই তথ্য।
বাস্তবেও দেদার মদ্যপানে ডুবে থাকতেন ‘পঞ্জাব দা পুত্তর’ ধর্মেন্দ্র। শ্যুটিংয়ে থাকলেও প্যাকআপের পর রাতভর নেশা। সকালে ফ্লোরে পৌঁছনোর আগে মদের গন্ধ চাপা দিতেন পেঁয়াজ খেয়ে। আর তাতেই বাধ সেধেছিলেন তাঁর নায়িকা!
সম্প্রতি এক নাচের প্রতিযোগিতার আসরে বহু বছর পরে মুখোমুখি হলেন ধর্মেন্দ্র এবং তাঁর এক কালের সহ অভিনেত্রী আশা পারেখ। দুই বন্ধুর গল্পেই বেরিয়ে এল ধর্মেন্দ্রর মদ্যপান ছাড়ার সেই কাহিনি। ১৯৬৬ সালে তখন ‘আয়ে দিন বাহার কে’ ছবিতে কাজ করছেন দু’জনে। প্যাক-আপের পর রোজ রাতে পার্টি এবং যথারীতি মদে ডুবে যেতেন ধর্মেন্দ্র। এবং পরদিন সকালে পেঁয়াজ চিবিয়ে পৌঁছে যেতেন সেটে। তখনই এক দিন পেঁয়াজের দুর্গন্ধে কাজ করতে আপত্তি জানান আশা। ধর্মেন্দ্রকে মদ্যপান ছাড়তেও অনুরোধ জানান তিনিই। নায়িকার অসুবিধা বুঝতে পেরে এক কথায় রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্রও।
আশাকে দেওয়া কথা রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র। জীবনে আর মদ ছুঁয়ে দেখেননি ‘শোলে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘ধরম বীর’ ছবির নায়ক। এমনকী, দার্জিলিংয়ের কনকনে শীতে বরফ ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে গোটা ইউনিটের অনুরোধ সত্ত্বেও ব্র্যান্ডিতে চুমুক দেননি ‘ধরম পা জি’। আশা পারেখ চাননি বলেই।
একের পর এক ছবিতে এক সঙ্গে অভিনয় করেছেন দু’জনে। নাচের প্রতিযোগিতায় অতিথি হয়ে এসে সেই সব সোনালি দিনকেই যেন ফিরে দেখলেন ধর্মেন্দ্র এবং আশা।