Ayushmann Khurrana

তাহিরাকে ছেড়ে অন্য মহিলার কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন আয়ুষ্মান! কেন আবার ফিরলেন স্ত্রীর কাছে?

“আমার বর্তমান স্ত্রী তখন আমার প্রেমিকা। আমি তখন গান করি। সকলে তাহিরাকে জিজ্ঞেস করত, আমার মধ্যে কী এমন আছে!” বললেন আয়ুষ্মান খুরানা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৭
Image of Ayushmann Khurrana and Rashmika Mandanna

অল্প বয়সের খ্যাতি মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডে তাঁদের দাম্পত্য কোনও রূপকথার চেয়ে কম নয়। আয়ুষ্মান খুরানা এবং তাহিরা কাশ্যপের জীবনকাহিনি হয়ে উঠতে যে কোনও দম্পতির প্রেরণা। কিন্তু সেই দাম্পত্যেও বিঁধেছিল বিচ্ছেদের কাঁটা। তাহিরাকে ছেড়ে অন্য মহিলার কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন আয়ুষ্মান।

Advertisement

অল্প বয়সের খ্যাতি মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে, এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমি চণ্ডীগড়ে খুবই জনপ্রিয় ছিলাম। সেই সময় তাহিরাকে ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, ‘আমি আমার মতো জীবন কাটাতে চাই।’ কিন্তু ছ’মাসের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলাম তাহিরার কাছেই।”

আয়ুষ্মান তাঁর ছোটবেলার বন্ধু তাহিরাকে বিয়ে করেন ২০০৮ সালে। তাঁদের দুই সন্তান। বলিউডে খ্যাতি পাওয়ার অনেক আগে থেকেই তাঁদের সংসার। কিন্তু কেন এমন করে ভালবাসাকে ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন? উত্তরে আয়ষ্মান বলেছেন, “আসলে খুব ছোটবেলায় জনপ্রিয়তা বা খ্যাতি মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমার মনে আছে, কিশোরবেলায় প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়েছিলাম কারণ অন্য মেয়েরা আমাকে পছন্দ করত।”

কিন্তু এখন আয়ুষ্মান মনে করেন তাঁকে যে আজ অন্য মেয়েরা পছন্দ করেন, তার কারণ তাহিরাই। তিনি বলেন, “আমার বর্তমান স্ত্রী তখন আমার প্রেমিকা। আমি তখন গান করি। সকলে তাহিরাকে জিজ্ঞেস করত আমার মধ্যে কী এমন আছে!” আয়ুষ্মান দাবি করেছেন তিনি এক জন নারীবাদী। অভিনেতা বলেন, “আমি পিতৃতান্ত্রিক পরিবেশে বড় হয়েছি। কিন্তু আজ আমি একজন নারীবাদী। তার একমাত্র কারণ আমার স্ত্রী। তাই আমি মনে করি উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া খুব জরুরি।”

কিন্তু তাঁদের জীবনেও গোলমাল তৈরি হয়েছে নানা সময়ে। আয়ুষ্মান বলেন, “সাফল্য আমার মাথাও ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ‘ভিকি ডোনর’-এর সাফল্যের পর আমি বেশি করে কাজের দিকে মন দিতে শুরু করি। এ রকমই হয়। পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনে সামঞ্জস্য রেখে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

আরও পড়ুন
Advertisement