আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করলেন পাপ্পু যাদব। ছবি সংগৃহীত।
বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিজেপি। কিন্তু এখনও বিরোধী জোটের আসনবণ্টন চূড়ান্ত নয়। এই আবহেই জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করলেন জন অধিকার পার্টির (জেএপি) প্রধান পাপ্পু যাদব। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগেই মহাজোটে যোগ দেবেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গেও পাপ্পুর ‘হাত’ মেলানোর জল্পনাও তুঙ্গে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারে ‘ঘর’ গোছাতে ব্যস্ত মহাজোট। এনডিএ শিবিরকে ধাক্কা দিতে লালু এ বার রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদকে জোটের দিকে টানতে উদ্যোগী হয়েছেন। মঙ্গলবারের বৈঠেকে পাপ্পুর সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে লালু এবং তেজস্বীর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে আরজেডির সঙ্গে যুক্ত হবেন পাপ্পু। এমনকি, কোন আসন থেকে তিনি প্রার্থী হবেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে।
কী আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে? সেই প্রসঙ্গে বুধবার পাপ্পু বলেন, ‘‘আমাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য যে কোনও মূল্যে বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির আর্দশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের।’’ উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই পাপ্পুর সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তাঁর স্ত্রী রঞ্জিত রঞ্জন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। এর আগে তিনি আরজেডির সাংসদও ছিলেন।
২০১৪ সালে মাধেপুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন পাপ্পু। শোনা যাচ্ছে, এ বারও সেই আসন থেকেই তাঁকে টিকিট দিতে পারেন লালু। শুধু পাপ্পু নন, বিহার রাজনীতিতে এখন চর্চায় রয়েছেন রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পারসে। এ বার তাঁর দল রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি (আরএলএসপি)-কে কোনও আসন ছাড়েনি বিজেপি। তার পর থেকেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন পশুপতি। ‘ক্ষুব্ধ’ পারস মঙ্গলবার সকালেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন পারস। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে কংগ্রেস এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সমর্থনে হাজিপুর কেন্দ্র থেকেই ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তিনি।