(বাঁ দিক থেকে) সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
‘ন্যায়পত্র’।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত ইস্তাহারকে এই শব্দবন্ধেই শুক্রবার চিহ্নিত করল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা দিল্লিতে দলের সদর দফতরে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে দেশের ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে চাকরি, ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, মহিলাদের আর্থিক সহায়তা, জাতগণনা এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলেন।
জানুয়ারি মাসে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় রাহুল জানিয়েছিলেন, তাঁর এই যাত্রা পাঁচটি ন্যায়ের উপরে দাঁড়িয়ে— মহিলা, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক এবং ভাগীদারি বা জনসংখ্যা অনুযায়ী ক্ষমতায় অংশগ্রহণের ন্যায়ের দাবি। সেই ন্যায়ের অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার। সেখানে কৃষকদের জন্য ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিশ্চিত করার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ মেনে পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে।
ইস্তাহারে রয়েছে, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করার কথাও। সেই সঙ্গে ২৫ বছরের কমবয়সি স্নাতকদের জন্য এক বছরের জীবিকামুখী শিক্ষানবিশ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকারের কথা। পাশাপাশি, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করলে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদী জমানায় চালু করা অস্থায়ী ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ কর্মসূচি বাতিল করে সেনাবাহিনীতে স্থানীয় নিয়োগ কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে।