রবার্ট বঢরা। — ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা অমেঠী, রায়বরেলী থেকে লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না, এই নিয়ে জল্পনার মধ্যে গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরা আসরে নেমে পড়লেন। তিনি আজ দাবি করেছেন, অমেঠীর মানুষ তাঁকে সেখানকার সাংসদ হিসেবে চাইছেন। কারণ, অনেক দিন ধরেই তিনি প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অমেঠীতে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছেন। জনসেবামূলক কাজ করেছেন। তাই মানুষ চাইছেন, তিনি যেন রাজনীতিতে যোগ দেন।
রবার্টের এই আচমকা দাবিতে প্রশ্ন উঠেছে, গান্ধী পরিবারই কি রবার্টকে অমেঠী থেকে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে প্রার্থী করার কথা ভাবছে? এতে শুধু কংগ্রেস নয়। ‘ইন্ডিয়া’-র শরিক দলের নেতাদেরও পিলে চমকে উঠেছে। বিরোধী শিবিরের নেতারা মনে করছেন, রবার্ট প্রার্থী হলে বিজেপি নতুন করে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবিরকে আক্রমণের সুযোগ পাবে। রবার্টের বিরুদ্ধে যে সব দুর্নীতির মামলা ছিল, তা-ও ফের বিজেপি সামনে আনবে। ফলে নির্বাচনী বিতর্কের মোড়টাই অন্য দিকে ঘুরে যাবে।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়ছে। অখিলেশ চান, রাহুল ফের অমেঠী থেকে লড়ুন। প্রিয়ঙ্কাও সনিয়া গান্ধীর পুরনো কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে ভোটে লড়ুন। সে ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোট লড়াইয়ে থাকবে। গান্ধী পরিবার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে আগেই সুবিধা পাবে।
গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ইন্ডিয়া’র জনসভায় একাধিক বিরোধী নেতা প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি রায়বরেলী থেকে লড়ছেন কি না! প্রিয়ঙ্কা ইতিবাচক উত্তর দেননি। রাহুল গত লোকসভা ভোটে স্মৃতির কাছে অমেঠী থেকে হেরে যাওয়ার পরে এ বার ওয়েনাড়ের পাশাপাশি অমেঠী থেকেও লড়বেন কি না, তা নিয়েও রাহুল-প্রিয়ঙ্কা মুখ খুলতে চাননি।
রবার্টের দাবি, তিনিও চান, প্রিয়ঙ্কার আগে সাংসদ হওয়া উচিত। অন্য দলের নেতারাও রবার্টকে প্রার্থী করতে আগ্রহী। অনেকেই বলেছেন তিনি রাজনীতিতে আসতে দেরি করছেন। অমেঠী, রায়বরেলী, সুলতানপুরের সঙ্গে তাঁর নিজের এলাকা মোরাদাবাদের মানুষও চান, তিনি সেখান থেকে ভোটে লড়ুন। তাই বিভিন্ন এলাকায় তাঁকে প্রার্থী করার দাবিতে পোস্টার পড়ছে। কংগ্রেসের একাংশের দাবি, রবার্ট নিজেই কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দিয়ে এই সব পোস্টার তৈরি করে প্রচার শুরু করেছেন।