নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জয়েন্টের প্রি কাউন্সিলিং-এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য তথা দেশের প্রথম সেন্ট্রালাইজড পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া, যা শেষ হবে ৭ জুলাই। ভর্তির আবেদনের সময়সীমা শেষের ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত পোর্টালে ৯ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আবেদন করেছে ৪ লক্ষের বেশি পড়ুয়া। এ রাজ্যে পড়তে চাওয়ার এত হিড়িক দেখে কি ভর্তির আবেদনের সময়সীমা আরও বৃদ্ধি পাবে? এ ব্যাপারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পর্যালোচনার উপরই আস্থা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
শনিবার এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, বিহার, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন এসেছে। এতে প্রমাণিত বাংলার উচ্চশিক্ষায় উন্নতি সাধন ঘটছে।”
প্রসঙ্গত, ৭ তারিখ আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ঠিক তার এক মাসের মাথায় ৭ অগস্ট স্নাতক স্তরে ক্লাস শুরু হবে। তার আগে প্রথম পর্যায়ের মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে ১২ জুলাই। দ্বিতীয় পর্যায়ের মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে ক্লাস শুরু হওয়ার পর, ২০ জুলাই। এর পরে ৮ অগস্ট থেকে ১৭ অগস্ট চলবে মপআপ রাউন্ড। এই পর্যায়ে নতুন করে পড়ুয়ারা স্নাতক স্তরে ভর্তির আবেদন জানাতে পারবেন। এ ছাড়াও প্রথম পর্যায়ে যাঁরা কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেননি বা আবেদন বাতিল করা হয়েছে, এমন পড়ুয়ারাও ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও ‘সিট অ্যালটমেন্ট’র পরেও যাঁরা ভর্তি হননি, তাদের দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকা প্রকাশের পরে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে ক্লাসে যোগদান করা যাবে ৭ তারিখ থেকে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "প্রথম আবেদন গ্রহণের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে আমরা বিষয়টি দেখব, বিচার বিবেচনা করব। ইন্সপেক্টরস অফ কলেজ-এর রিপোর্ট নেওয়া হবে এবং আলোচনার প্রেক্ষিতে যদি উচ্চশিক্ষা দফতর মনে করে, তাহলে আবেদনের দিন বাড়ানো হবে।"