প্রতীকী ছবি।
আগামী বছরের শুরুতেই বিতরণের আগে, স্কুল পড়ুয়াদের ব্যাগের গুণগত মান নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার। শুধু গুণগত মান নয়, ব্যাগ নিয়ে কোনও রকম অনিয়ম রুখতে ইতিমধ্যেই ব্যাগ নির্মাণ সংস্থাকে বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে।
প্রত্যেক বছরের মতো আগামী বছরের শুরুতেই সরকারি এবং সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়াদের নতুন ব্যাগ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের নিজস্ব বিশ্ব বাংলা-র লোগো দেওয়া থাকবে ব্যাগে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাগের রঙেও পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “আগে যে ব্যাগ দেওয়া হত সেগুলির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বলেই সরকার বাড়তি নজর দিচ্ছে। আমরা স্বাগত জানাই এই প্রচেষ্টাকে, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ভাল মানের ব্যাগ পায় সে বিষয়ে সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।”
সূত্রের খবর, এ বছর ১৭ লক্ষ ৬৮ হাজার স্কুল ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছে ব্যাগ নির্মাণকারী সংস্থাকে। এ বছর ব্যাগে নীল রং ব্যবহার করা হচ্ছে সঙ্গে ডিজাইনেরও পরিবর্তন করা হচ্ছে। ব্যাগের গুণগত মান যাতে ভালো হয় তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “ব্যাগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। ব্যাগের গুণগত মান নিয়ে সরকার বেশি ব্যস্ত, এ দিকে শিক্ষক নিয়োগ না করার জন্য শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকছে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক হলে আরও বেশি ভাল হতো।”
স্কুল ব্যাগ কতটা ভার বহন করতে পারবে তার জন্য ব্যাগের মধ্যে ১০ কিলো ওজনের বই ঢুকিয়ে সেটিকে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হবে। ব্যাগের গুণগত মান দেখার জন্য ব্যাগটিকে এক মিটার উপর থেকে ফেলে দেখা হবে। এ ছাড়া পেন্সিল বক্স, ইন্সট্রুমেন্টাল বক্স এবং টিফিন বক্স রাখার জন্য থাকছে একাধিক পকেটের ব্যবস্থা।
২০১৬ সালে প্রথম রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলের ব্যাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক বছর এই ব্যাগ দেওয়া হয়।