প্রশিক্ষণরত পড়ুয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।
আইএস ও আইপিএস হওয়ার জন্য আর দিল্লিতে ছুটতে হবে না, নিজের জেলা ছেড়ে আর আসতে হবে না কলকাতায়। ২৬টি জেলায় রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে ‘সিভিল সার্ভিস ডিস্ট্রিক স্টাডি কোচিং সেন্টার’।
আমলার পেশায় উৎসাহ দিতে এ বার জেলায় জেলায় সেন্টার গঠন করল ‘সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার’ (এসএনটিসিএসএসসি)। ২৬টি জেলার প্রত্যেকটি সেন্টারে ৫০ জন করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেন্টার গুলিতে ডিজিটাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দফতর কোচিং স্টাডি সেন্টারগুলির দেখাশোনা করেন যৌথ ভাবে।
এসএনটিসিএসএসসি অ্যকাডেমিক কনসালট্যান্ট জ্যোতির্ময় পালচৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইএএস পঠন-পাঠনের উপর আগ্রহ কমছিল পড়ুয়াদের। তাই স্বল্প খরচে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ শুরু করা হয় সরকারের তরফ থেকে। ২০২১ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে পড়ুয়াদের।”
২০১৪ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই ‘সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার’-এর। ২০২১ সালে এই সেন্টারটির নতুন নামকরণ হয় ‘সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার।’ বর্তমানে সল্টলেকের মূল ভবনে প্রশিক্ষণরত পড়ুয়ার সংখ্যা ২৫০। প্রিলিমস্, মেইন্স্ ও ইন্টারভিউ এই তিনটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জেনারেল স্টাডি কোর্স প্রশিক্ষণের জন্য দু’টি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এসএনটিসিএসএসসি।
যে কোনও বিষয়ে স্নাতক ও ২১ বছর বয়স হলেই এই প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা। ১০ মাসের কম্পোজিট পাঠক্রম এখানে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বছর জুলাই মাস থেকে এই ক্লাস শুরু হয়।
জেনারেল স্টাডিতে প্রিলিমস্-এ দু’টি বিষয় থাকে। সিভিল সার্ভিস অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও জেনারেল স্টাডি। প্রিলিমস্-এর পরীক্ষা হয়ে থাকে মে মাসে। তবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সিভিল সার্ভিস অ্যাপটিটিউড টেস্টে ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হয় তবেই জেনারেল স্টাডির গ্রহণযোগ্যতা থাকে।
মেইন্স্-এর পরীক্ষা হয়ে থাকে প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানে জেনারেল স্টাডিতে চারটি বিষয় ও অপশনাল দু’টি বিষয় পড়ানো হয়। সেগুলি হল রচনা ও ভারতীয় ভাষা। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ‘সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছেন বাংলার ১৮ জন আমলা। সল্টলেকের মূল ভবনে পড়ুয়াদের থাকার জন্য রয়েছে হোস্টেল ১০০ জন পড়ুয়া প্রশিক্ষণের সময় সেখানে থাকতে পারেন।