WBCHSE Syllabus

জুনের শেষে মিলবে ইংরেজি, বাংলা-সহ নানা ভাষার বই, পিডিএফ আপলোড শিক্ষা সংসদের

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি, বাংলা-সহ মোট ৬টি ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে সাঁওতালি ও উর্দু ছাড়া প্রত্যেকটি ভাষার প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র রয়েছে। ‌বই ছাপানোর ক্ষেত্রে যে নিয়ম বহাল, তা অনেকটাই জটিল ও সময় সাপেক্ষ বলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ২২:৫২

প্রতীকী চিত্র।

বাংলা, ইংরেজি-সহ বিভিন্ন ভাষার বই পেতে জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ হয়ে যাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার সমস্ত ভাষার বইয়ের পিডিএফ কপি আপলোড করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ‌

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে সংসদের তরফ থেকে পিডিএফ কপি আপলোড করে দেওয়া হচ্ছে। ‌ যেহেতু বই পেতে সামান্য দেরি হতে পারে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংসদের ওয়েবসাইট থেকে এই পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবে সকলেই।”

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি, বাংলা-সহ মোট ৬টি ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে সাঁওতালি ও উর্দু ছাড়া প্রত্যেকটি ভাষার প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র রয়েছে। ‌ বই ছাপানোর ক্ষেত্রে যে নিয়ম বহাল, তা অনেকটাই জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রকাশকদের কাছে লেখা আসার পর প্রথমে বইটি যায় শিক্ষা দফতরের কাছে। সেখান থেকে এ রাজ্যের টেক্সটবুক কর্পোরেশনের কাছে। তারপর তা প্রুফ রিডিং-এর জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে আসে সংশোধনের জন্য। তার পর সেখান থেকে ফের যায় শিক্ষা দফতরের কাছে।‌ সেখান থেকে সমস্ত জেলার ডিআই-দের কাছে। সেখান থেকে তা স্কুলে-স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হয়। গোটা প্রক্রিয়া বেশ খানিকটা সময়সাপেক্ষ বলে মনে করছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকেরা।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “বইয়ের অভাবে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারছে না বহু স্কুল। অন্যান্য বইও সে ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। আমরা শিক্ষা সংসদকে অনুরোধ করেছিলাম বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। তাই পিডিএফ আপলোড করছে সংসদ। এতে কিছুটা হলেও উপকার হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।”

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ৫২টি অন্যান্য বিষয়ের বই বাজারে আসতে শুরু করেছে। সমস্ত বই ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুত যাতে বইগুলি পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে যায়, তার জন্য শিক্ষা সংসদ সব রকম ব্যবস্থা করছে।

প্রসঙ্গত, ৮ই মে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকে স্কুলগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে। বহু স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়ার পর সিমেস্টার সিস্টেমের পদ্ধতিতে সময়সীমা কম থাকার জন্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে বই না থাকায় যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে।

এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “বই না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা, সর্বোপরি শিক্ষকরাও যথেষ্ট পরিমাণে অসুবিধায় পড়েছে। নতুন পাঠ্যক্রম ও সিমেস্টার পদ্ধতির জন্য পড়ুয়াদের স্বার্থে সংসদের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়।”

আরও পড়ুন
Advertisement