—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগেই হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেট। সেই সময় রেলের বরাদ্দে উত্তরবঙ্গের ভাগ্যে ‘শিকে ছেড়েনি’ বলেই অভিযোগ ছিল। যদিও তার পরে চালু হয়েছে দু’টি ‘বন্দে ভারত’। পরিকাঠামোর কাজ ছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে আরও রাতের ট্রেন, হায়দরাবাদ-চেন্নাই বা বেঙ্গালুরুর মতো জায়গায় চিকিৎসার জন্য সরাসরি দূরপাল্লার ট্রেন বা বিভিন্ন স্টপের দাবিও ‘অধরা’। এ বার কি বাজেটে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর ফারাক কি কিছুটা মিটবে? তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে উত্তরবঙ্গ।
১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট৷ তার সঙ্গেই রেল বাজেট৷ সপ্তাহ দু'য়েকের সামান্য সময় বাকি বাজেটের। গত কয়েক বছরে উত্তরের জন্য রেল বাজেটে তেমন কিছুই জোটেনি। সাধারণ যাত্রী থেকে ব্যবসায়ী সংগঠন আশা করছে, এ বার অন্তত উত্তরবঙ্গ বড় কিছু পাবে। দীর্ঘদিন আগে উত্তরবঙ্গে একটি ‘এক্সেল অ্যান্ড হুইল’ কারখানা এবং একটি ওয়াগন কারখানার দাবি ছিল। তা কার্যত ‘ঠান্ডা ঘরে’ চলে গিয়েছে। অভিযোগ, চালু ট্রেনগুলিতে যাত্রী পরিষেবা তেমন বাড়েনি। বাড়েনি এনজেপি থেকে কলকাতার দিকের রাতের ট্রেন। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘রেলের অনেক কিছুই হয়নি। তাই নতুন করে আর কোনও প্রত্যাশা নেই। বাজেটে কী হচ্ছে দেখা যাক।’’
গত নভেম্বরেই ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক ট্রেন চালু করা, পণ্য পরিবহণের পরিকাঠামো বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেগুলি কি যথাযথ ভাবে গুরুত্ব পাবে? উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘প্রতি বারই বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তাব পাঠায়। এ বারও অনেক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে কোনটা কার্যকর হবে বা হবে না, তা পুরোপুরি রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের বিষয়।’’
যদিও, কাজ একেবারে হয়নি বলে মানছেন না বিজেপি নেতারা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, এ রাজ্যের জন্য রেলের তহবিল নিয়ে সমস্যা হবে না। রাজ্য সরকার জমি দিলে, সহযোগিতা করলে রেলের উন্নয়ন হবেই।’’ সুকান্তের আশ্বাস, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত নতুন লাইনের প্রস্তাবও বিবেচিত হবে।
তথ্য সহায়তা: শান্তশ্রী মজুমদার, সৌমিত্র কুন্ডু, নমিতেশ ঘোষ, জয়ন্ত সেন