অনেকের বক্তব্য, জোর দিতে হবে বাণিজ্যে কৃত্রিম মেধার (এআই) প্রয়োগে। —প্রতীকী চিত্র।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। তার উপরে ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শুরুর পরে নতুন করে শুল্ক যুদ্ধ বাঁধে কি না, সে দিকেও নজর বিভিন্ন দেশের। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নতুন বছরে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের আমদানি-রফতানিকে এই দুই শর্ত প্রভাবিত করতে পারে। এই অবস্থায় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে গেলে আমদানিকারী এবং রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। অনেকের বক্তব্য, জোর দিতে হবে বাণিজ্যে কৃত্রিম মেধার (এআই) প্রয়োগে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে চিনের বিভিন্ন পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বাড়তে পারে। এর পরে চিনও যদি পাল্টা পদক্ষেপ শুরু করে তা হলে নতুন করে শুল্ক যুদ্ধ মাথাচাড়া দেবে। তবে ভারতের সামনেও প্রশস্ত হবে এই দুই দেশে রফতানির রাস্তা। বিশেষ করে আমেরিকায়। যদিও ভারত থেকে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া একাধিক পণ্যেও চড়া আমদানি শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। টেকনোক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রিজ়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস কে শরাফের কথায়, ‘‘ভারতীয় শিল্পকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে গেলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে নজর দিতে হবে। চিনা পণ্যের উপরে আমেরিকা আমদানি শুল্ক বাড়ালে সে দেশে রফতানির সুযোগ বাড়তে পারে এ দেশের। এই সম্ভাবনার দিকে এখন থেকেই নজর দেওয়া দরকার।’’ গাড়ির যন্ত্রাংশ সংস্থা হাইটেক গিয়ার্সের চেয়ারম্যান দীপ কাপুরিয়া বলেন, ‘‘শুধু পরিষেবা নয়, যে সমস্ত পণ্য উৎপাদনে এআই নির্ভর প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়, সেগুলির গুরুত্ব বাড়ছে বিশ্ব বাণিজ্যে।’’
একাংশের ব্যাখ্যা, অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলি নতুন করে বাণিজ্য চুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র সভাপতি অশ্বিনী কুমার জানান, কার্বন নিঃসরণ পরিমাপের জোর দিতে হবে। কারণ, এ ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে ইইউ।