প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এ বার একাদশের পরীক্ষাও উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গেই নেওয়া হবে। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গেই সমস্ত স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও চলবে।
যে স্কুলগুলি এখনও পর্যন্ত একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারেনি, তারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষা নিতে পারে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে, শেষ হবে বেলা ১টা নাগাদ। সেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই দিনই দ্বিতীয় ভাগে বেলা ২টো থেকে বিকেল সওয়া ৫টা পর্যন্ত একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “সংসদের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। আগে এই ভাবেই পরীক্ষা নেওয়ার চল ছিল। পুনরায় এই পদ্ধতি চালু হলে, একাদশের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পাবে।”
কয়েকদিন আগেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ই শিক্ষকমহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল, পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনার যৌক্তিকতা কী? অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সেরে ফেলতে চাইছে সরকার। তাই নবান্নের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন এগিয়ে আনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়ার পরই একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা ওই একই দিনে হতে পারে, এমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়ে গেল। তা হলে এত টালবাহানার কী প্রয়োজন ছিল!”
অন্যদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষারও সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতি মলয়েন্দু সাহা বলেন,“আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই পরীক্ষার দিনক্ষণও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।” তাই বলা যেতেই পারে, নির্বাচনের আগেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলি সেরে নিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য।