Extracurricular Activity in College

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি সহবত শিক্ষার কর্মশালা

এই কর্মশালা মূলত প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই করা হবে। তার প্রধান কারণ নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম সিমেস্টারের পড়ুয়া সংখ্যা ৫২৫ মতো। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ পড়ুয়া প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৭

প্রতীকী ছবি

উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা লাভের প্রথম ধাপ হচ্ছে মহাবিদ্যালয়। কিন্তু মহাবিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের সহবত শিক্ষার পাঠদানে উদ্যোগী হল নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়। এপ্রিল মাসে এক দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের নিয়ে।

Advertisement

সেন্টার ফর হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ও নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের লিঙ্গ বিষয়ক সচেতনতা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার আঙিনায় প্রবেশ করার পর পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা কী ভাবে মেলামেশা করবেন, কী ধরনের পোশাক পরতে পারেন, কী ভাবে কথা বলবেন এই সমস্ত বিষয়ে যাবতীয় পাঠ দেওয়া হবে এই কর্মশালার মাধ্যমে।

অধ্যক্ষা অয়ন্তিকা ঘোষ বলেন, “প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পড়াশোনার যুগে, অতিমারির পর থেকে প্রতিদিন কলেজে এসে পাঠগ্রহণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সে জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের অন্য প্রক্রিয়ায় আকৃষ্ট করার জন্য এবং জীবিকা অর্জন ও মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ।”

এই কর্মশালা মূলত প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই করা হবে। তার প্রধান কারণ নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম সিমেস্টারের পড়ুয়া সংখ্যা ৫২৫ মতো। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ পড়ুয়া প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। এই সমস্ত পড়ুয়ার গ্রুমিং ও কমিউনিকেশন-এর ক্ষেত্রে অনেক সময় একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়। এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে তাঁরা অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এক দিনের কর্মশালা হলেও ২৫ থেকে ৩০ জনের এক একটি দল করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এই কর্মশালার আগে চলতি মাসের ৯ তারিখ লিঙ্গ বিষয়ক সচেতনতা কমিটির তরফ থেকে সমাজের তিন জন কৃতী মহিলাকে নিয়ে নারী সচেতনতার উপর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন সাউথ ক্যালকাটা গার্লস কলেজের সংস্কৃত সাহিত্যের অধ্যাপিকা শক্তি রায় চৌধুরী। তিনি ‘নব দিশা’ নাটকের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন। থাকবেন ছৌ নৃত্য শিল্পী মধুমিতা পাল। তিনি ভারত সরকারের নৃত্য বিষয়ের গবেষক। ছৌ নৃত্য-এর মাধ্যমে তিনি নারীর অধিকার বিষয়ক কথা তুলে ধরবেন। আর থাকছেন সঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদের স্ত্রী, দোহারের প্রতিনিধি ঋতচেতা গোস্বামী, গান কী ভাবে মানুষকে জীবনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং সুস্থ ভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয় তা তুলে ধরবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেয়েকথা’। লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে শেখানো হবে অপরকে সন্মান করার কিছু জাদু মন্ত্র।

আরও পড়ুন
Advertisement